রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২২, ০৮:৩৪

বৃহস্পতির ছবি তুলে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের চমক

বৃহস্পতির ছবি তুলে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের চমক
অনলাইন ডেস্ক

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ একের পর এক চমক দিয়েই যাচ্ছে। ১২ জুলাই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের গবেষক দল প্রথমবারের মতো বৈজ্ঞানিক মানের দুর্দান্ত কিছু ছবি প্রকাশ করে বিশ্বকে চমকে দেন। এসব ছবিতে গভীর ও দূরতম মহাবিশ্বের বিস্তারিত দৃশ্য উঠে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের সাহায্যে তোলা বৃহস্পতি গ্রহের বেশ কিছু দুর্দান্ত ছবি প্রকাশ করেছেন নাসার গবেষকেরা। এ থেকে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে তৈরি টেলিস্কোপটির সাহায্য দূরের গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে গবেষণার সক্ষমতার বিষয়টি উঠে এসেছে। খবর স্পেসডটকমের।

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ব্রায়ান হলার বলেছেন, ‘আগে প্রকাশ করা ডিপ ফ্লিডের ছবি ও এবারের বৃহস্পতি গ্রহের ছবি মেলালে দেখা যাবে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ কী ধরনের পর্যবেক্ষণ করতে পারে। অস্পষ্ট ও সবচেয়ে দূরবর্তী পর্যবেক্ষণযোগ্য ছায়াপথ থেকে শুরু করে পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখতে পাওয়া আমাদের নিজস্ব সৌরজগতের গ্রহগুলোও টেলিস্কোপটির পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে।’

গবেষকেরা বলেন, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পরিচালনা মিশনের সঙ্গে যুক্ত গবেষক দল এর চারটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সিস্টেম চালু করছিলেন, তখন ছবিগুলো তোলা হয়। এ সপ্তাহের শুরুতে টেলিস্কোপের পরীক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়। গত মঙ্গলবার থেকে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটি আনুষ্ঠানিকভাবে বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম শুরু করেছে।

২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটি মহাকাশে পাঠানো হয়। এটি মূলত মহাকাশের গভীরে অতীতের বিষয়গুলো তুলে আনার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আদি নক্ষত্র ও ছায়াপথগুলো নিয়েও গবেষণা করার লক্ষ্য এটির। তবে ইনফ্রারেড পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে টেলিস্কোপটি আরও নানা কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপটি ব্যবহার করে সৌরজগতের বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়