প্রকাশ : ০১ মে ২০২২, ১১:১৩
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ফেসবুক, বাড়ছে সক্রিয় ব্যবহারকারী
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে ফের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে।
২০২২ সালের শুরু থেকে ব্যবহারকারী কমার প্রবণতা বন্ধ হয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে প্ল্যাটফর্মটি।
ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা গত সপ্তাহের শেষের দিকে জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ফেসবুকে দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে ১৯৬ কোটিতে পৌঁছেছে।
মেটার কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গ অবশ্য জানিয়েছেন, তার কোম্পানির আয়ের প্রবৃদ্ধি এক দশকের মধ্যে এখনই সবচেয়ে ধীর।
গত বছর শেষ তিন মাসে ফেসবুক তাদের ইতিহাসে প্রথমবার দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমার ঘোষণা দিয়েছিল। তাতে পুঁজিবাজারে কোম্পানির মূল্য ২০০ কোটি ডলার কমে যায়।
ফেব্রুয়ারি মাসে ২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকের শেয়ারের দাম অর্ধেকে নেমে যায়। তবে বুধবার এ বছরের প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেয়ারের দাম এক লাফে ১৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জাকারবার্গ বলেছেন, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি মানুষ এখন আমাদের সেবা ব্যবহার করছে, এবং আমাদের পণ্য বিশ্বজুড়ে যেভাবে জনগণকে সেবা দিচ্ছে, তাতে আমি গর্বিত।
তবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটার আয় এ বছরের প্রথম তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ৭ শতাংশ বেড়েছে। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিলো দুই হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করা ফেসবুকের জন্য এটাই সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধির হার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্যবসার পরিচালনা খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বিজ্ঞাপনে ব্যয় কমিয়ে দিচ্ছে, ইউক্রেইনে যুদ্ধও একটি বড় ভূমিকা রাখছে এর পেছনে।
এছাড়া এতদিন অনলাইনে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে গুগল ও ফেসবুকই মূল প্ল্যাটফর্ম ছিল, কিন্তু এখন টিকটকের মতো নতুন প্ল্যাটফরম এবং কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন এ বাজারে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমে গোপনীয়তার নীতিতে পরিবর্তন আনার কারণেও মেটার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন মাসগুলোতে কোম্পানির আয় ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ডলারের মধ্যে থাকতে পারে, যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে কম।
সার্বিকভাবে এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে মেটার মুনাফা হয়েছে ৭৪৬ কোটি ডলার। এই অংক বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হলেও বছরভিত্তিক প্রবৃদ্ধির তুলনায় কম।
সূত্র: দেশ রূপান্তর