প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২২, ১২:৫০
ডমিঙ্গোর বিদায়ের ইঙ্গিত দিলেন পাপন
আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা থাকতেই পারে বাংলাদেশ শিবিরে। কারণ ক্রিকেটের এই খুদে ফরম্যাটে এখন টাইগারদের পারফরম্যান্স নড়বড়ে।
কুড়ি ওভারের খেলায় এবার বাংলাদেশের আড়ষ্টতা কাটাতে নতুন সব পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টি-টোয়েন্টির মেজাজে খেলতে না পারা মাহমুদউল্লাহকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েই পরিকল্পনার প্রথম কাজটি করেছে বিসিবি। অধিনায়ক করা হয়েছে দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে।
এবার বিসিবির নজর কোচিং স্টাফের দিকে। সেখানেও বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দলের মানসিকতা বদলাতে ও ব্যাটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি মেজাজ আনতে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকেই বদলাতে চায় বিসিবি।
সাবিক-মুশফিকদের জন্য বিসিবি সভাপতি এমন একজন কোচ চান যিনি পাওয়ার হিটিং শেখাবেন। ম্যাচের প্রথম বল থেকেই ব্যাটারদের মাঝে খুনে মেজাজে ব্যাটিংয়ের মানসিকতা গড়ে তুলবেন। ব্যাটাররা যেন পাওয়ার প্লেতে ফিল্ডারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেন।
আর সে ক্ষেত্রে রাসেল ডমিঙ্গো নয়; পাপনের পছন্দ জেমি সিডন্স, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এসে সে কথারই ইঙ্গিত দিলেন পাপন। তিনি যা বললেন, তাতে টি-টোয়েন্টি দলের কোচ হিসেবে রাসেল ডমিঙ্গো নিজের শেষটা দেখছেন।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা শক্তিশালী দল নই। আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দু-একদিনের মধ্যে জানতে পারবেন। মাইন্ডসেট বদলে ফেলতে চাই আমরা এবং সেটি এই এশিয়া কাপেই। দেখি, নতুন শুরু করা যায় কিনা।’
বিশ্বকাপে উন্নতি করতে হলে এশিয়া কাপ থেকে দলের চিন্তাধারায় পরিবর্তনের ওপর জোর দেন বিসিবি সভাপতি, ‘এশিয়া কাপ কিন্তু বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে বড় আসর। গত বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ ছিল। হঠাৎ করে এখন এত তাড়াতাড়ি বের হতে পারব কিনা জানি না। আমাদের মাথায় যদি চিন্তাধারা থাকে আমরা উন্নতি করতে চাই,আর এই চিন্তা যদি এশিয়া কাপ থেকে শুরু না করি তা হলে বিশ্বকাপে গিয়ে আরও খারাপ অবস্থা হবে।’
বিসিবি বস বলেন, ‘এখানে পাওয়ার হিটিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। ১৩০-১৪০ করে হয়তো একটা জিতে যাব একদিন, কিন্তু এটি আমাদের হতে পারে না। আমাদের ১৮০-৯০, ২০০ করতে হবে। এটি মাথায় রেখেই আমাদের খেলতে হবে। আমাদের যে প্ল্যান এখন চলছে, এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না। খেলার মধ্যেও দেখি না। সে জন্য কী করা যায় এটি নিয়ে আলাপ করছিলাম। তখন জেমি এসে বলল ও নাকি এটাতে খুব আগ্রহী।’
সিডন্সকেই পাওয়ার হিটার কোচের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে পাপন বলেন, ‘কদিন আগে জেমি (সিডন্স) আমার বাসায় এসেছিল। কিছু বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। যদি আমরা জিততে চাই বা ভালো করতে চাই টি-টোয়েন্টির ভাবনাটা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা একটা পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তো তখন জেমি বলল ওর নাকি এটাতে বিশেষত্ব আছে। আমরা দেখছি এই এশিয়া কাপটা না আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে পরবর্তী বিশ্বকাপ। কারণ ওইটা আরও চ্যালেঞ্জিং। কারণ ওইটা অস্ট্রেলিয়ায়। ওসব জায়গায় তো আমরা স্ট্রাগল করি। সেসব কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি।’
যেহেতু টি-টোয়েন্টি সংস্কারণে হবে এশিয়া কাপ, তাই নতুন চিন্তার প্রবর্তন হতে পারে এই আসর থেকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে দলের কোচ পরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তাই পাপনের এমন বক্তব্যে টি-টোয়েন্টি কোচ হিসাবে ডমিঙ্গোর বিদায় যে নিশ্চিত তা বোঝার বাকি নেই।