প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৩, ২৩:৩৬
গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে গেলো গণ গণধিকার পরিষদ
রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে গেলো গণ গণধিকার পরিষদ। শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় বিজয়নগরে সংগঠনটির দলীয় কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংগঠনটির দপ্তর সমন্বয়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান। এর ফলে ৯ মাসের মাথায় ভেঙে গেলো সাত দলীয় জোটর গণতন্ত্র মঞ্চ।
ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ এ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শুধুমাত্র গণতন্ত্র মঞ্চে সীমাবদ্ধ না থেকে সব বিরোধী দলের সঙ্গে রাজপথে সমন্বিত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গণঅধিকার পরিষদের।
এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের বিরূপ আচরণে নেতাকর্মীরা অনেকটা হতাশ ছিল। রাতেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানান তিনি।
গত বছরের ৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাত দলীয় জোটের গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ হয়। জোটভুক্ত দলগুলো হলো-জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাষানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
গণঅধিকার পরিষদ বেরিয়ে যাওয়ায় গণতন্ত্র মঞ্চে আর ছয়টি দল রইলো। এখন থেকে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে, সেই সঙ্গে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে এককভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
শনিবার গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর সভাপতিত্ব করেন।
সভার অন্যান্য সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কর্মময় জীবন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আগামী ১৫ মে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা করা হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আগামী ১২মে শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যলয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।
এছাড়া সভায় নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন বেগবান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, সে লক্ষ্যে শুধুমাত্র গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে জোটবদ্ধ কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ না থেকে গণঅধিকার পরিষদের নিজস্ব উদ্যোগে চলমান যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলের সঙ্গে রাজপথে সমন্বিত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।