প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১৬:৩৪
আওয়ামী পরিবারে বেড়ে ওঠা শ্রাবণ ছাত্রদল সভাপতি
সদ্য ঘোষিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির (আংশিক) সভাপতি হয়েছেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। যশোরের ছেলে শ্রাবণ বেড়ে উঠেছেন আওয়ামী পরিবারে। তার বাবা ও ভাইয়েরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের পদধারী নেতা। সেই পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রদলের শীর্ষ পদ পাওয়ায় তৈরি হয়েছে আলোচনা।
তবে ভিন্ন রাজনৈতিক চেতনার কারণে পরিবারের কারও সঙ্গে শ্রাবণের সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন তার বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম।
যশোরের কেশবপুরের সন্তান কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। তার বাবা কাজী রফিকুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান। শ্রাবণের বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। মেজো ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। আর সেজো ভাই কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক। যে কারণে শ্রাবণ ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার খবর ছড়াতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকেই ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন তিনি । সেই সময় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। ওই সম্মেলনে ভোটে হেরে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোনীত হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রাবণের বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম বলেন, আমার ছোট ভাই শ্রাবণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। গত ১৬ বছর ধরে সে বাড়িতে আসে না। আমাদের পরিবারের বাকি সবাই আওয়ামী লীগ করলেও সে তার নিজস্ব চিন্তা-চেতনায় রাজনীতি করে।
এ প্রসঙ্গে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার রুহুল আমিন বলেন, রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও শ্রাবণ ছাত্রকাল থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এতে দোষের কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, শ্রাবণ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে, এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের দলে কোনো প্রতিক্রিয়া আছে বলে মনে হয় না।
রোববার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পরই নানাভাবে আলোচিত হচ্ছে শ্রাবণের সভাপতি হওয়ার বিষয়টি।