প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩, ০২:৪২
বিএনপির কারণেই গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বারবার হোঁচট খেয়েছে: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে নির্লজ্জ মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এ দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করেছে বিএনপি। বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী রাজনীতির কারণেই এদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বার বার হোঁচট খেয়েছে। তাই বন্দুকের নলে অবৈধ ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে গঠিত অবৈধ দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকারের কথা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ ছাড়া কিছু নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমনই এক দলের মহাসচিব যে দলের সর্বশেষ সম্মেলন কবে হয়েছে সেটি বোধ হয় তিনি নিজেই ভুলে গেছেন! যে দলের অভ্যন্তরেই গণতন্ত্র নেই তারা আবার দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে? এমন প্রশ্নও তোলেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যদি মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন করি, স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান কোন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল? বিচারপতি সায়েমকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে সরিয়ে দিয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদ দখল করেছিল। জিয়ার গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র। স্বৈরাচার জিয়া পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিল, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছিল।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন! নির্বাচনে না গিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি তীব্র সমালোচনা আর মিথ্যাচারের তীর ছুঁড়ে এবং দলীয়ভাবে আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রেখে তারা না-কী দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে! জনগণ কী তা বিশ্বাস করে?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার গণতন্ত্রকে ক্রমান্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করি, অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হবে।