প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:২১
আমার এত ভোট গেলো কই: হিরো আলম
ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
তিনি বলেছেন, ভোটের ফলাফল সবাই জানেন। আমাদের নন্দীগ্রামে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয়, সেখানে ৪৯টি কেন্দ্র। সবাই বলেছেন- আপনি পাস করেছেন। ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন। আমার এত ভোট গেলো কই?
দুই আসনে পরাজয়ের পর বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদরের এরুলিয়ায় বানদিঘী গ্রামে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হিরো আলম।
তিনি বলেন, আজ সারা বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল, হিরো আলমের কী হবে? আমার গর্বে বুক ভরে গেছে। আজকের নির্বাচনে মনে হয়েছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর ভোট করলাম। ভোটের ফলাফল সবাই জানেন। আমাদের নন্দীগ্রামে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয়, সেখানে ৪৯টি কেন্দ্র। সবাই বলেছেন আপনি পাস করেছেন। ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন। আমার এত ভোট গেলো কই? নির্বাচন কর্মকর্তা ৩৯টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা দিয়ে থেমে যান। এরপর সরাসরি বাকি ১০ কেন্দ্রে তানসেন জয়ী বলে ঘোষণা দেন। এই ১০ কেন্দ্রেই ফলাফল কারচুপি করা হয়েছে।
হিরো আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব বলেছে- আপনি জিতেছেন। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলছে, মশাল জিতে গেছে, এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। আওয়ামী লীগের লোকজনও আমাকে ভোট দিয়েছেন। দল নয় আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। ওই ভোটগুলো গেলো কই? এই ফলাফল আমি মানি না।
তিনি আরও বলেন, এসব অনিয়মের বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেইনি। তবে ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাবো। ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই ফলাফল দিয়েছে প্রশাসন। এই কেন্দ্রগুলোতে আমি কত ভোট পাইলাম তা জানানো হলো না আমাকে।
হিরো আলম আরও অভিযোগ করেন, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু দেখেছি। কিন্তু ফলাফলে জায়গায়ে গণ্ডগোল হয়েছে। ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। সদরের ভোট নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। লাহেরি পাড়ায় আমার এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি। তানসেনের কোনো নাম-গন্ধই ছিল না। তাকে পাস করানো হয়েছে।
‘কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আমাকে মেনে নিতে চান না। তারা ভাবে আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে, হিরো আলমকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হবে। আমাকে জিততে দেওয়া হয়নি।’
আশরাফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, মহাজোটের মশাল মার্কা কোনো কেন্দ্রে ভোট পাঁচশ পেলে আমি ২৮ ভোট পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। শহরের মধ্যে আমি একটু আশঙ্কায় ছিলাম। এই কারণে বাসায় সংবাদ সম্মেলন করছি।
বগুড়া-৪ আসনে ফলাফলে হিরো আলম ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে মশাল প্রতীকের কাছে হেরেছেন। তবে বগুড়া-৬ আসনে তিনি পাঁচ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপ-নির্বাচনের নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
এদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদিঘী গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।