রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:০৯

শেখ হাসিনার দুঃসময়ের কাণ্ডারি মোল্লা কাওসার

শেখ হাসিনার দুঃসময়ের কাণ্ডারি মোল্লা কাওসার
অনলাইন ডেস্ক

উপমহাদেশের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ । আগামীকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন কেন্দ্র করে কোন পদে কে আসছে তা নিয়ে চলছে নানান আলোচনা।

এর মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছেন আওয়ামী লীগ সভপতি শেখ হাসিনার দুঃসময়ের কাণ্ডারি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওসার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোল্লা কাওসারকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। মোল্লা মো. আবু কাওসারের সাংগঠনিক দক্ষতা, সচ্ছতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দুঃসময়ে ছায়ার মতো পাশে নিয়ে প্রশংসা করে অসংখ্য পোস্ট ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে কমেন্ট বস্কেও প্রশংসা করছেন আরো অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে সবার একটাই দাবি- আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে যেনো স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক এই সভাপতিকে ভালো কোনো পদ দিয়ে আওয়ামী লীগ শক্তিশালি করা হয়। ফেসবুক পোষ্টে বলা হচ্ছে- মোল্লা কাওসার শেখ হাসিনার একান্ত অনুগত, পরিক্ষিত ও দুঃসময়ের কাণ্ডারি।

নিচে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা কাওসার মো. আবু কাওসারকে নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট তুলে ধরা হলো:

১৯৭৯-১৯৮০ সেশনে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে আইন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র হিসাবে ভর্তি হন।

১৯৮১-১৯৮২ সেশনে জহুরুল হক হল ছাত্র সংসদের সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮৩-১৯৮৪ সেশনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জহুরুল হক হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮২ সেশনে দেশে সামরিক শাসন জারী কালে সামরিক শাসনের বিরোধীতা করে তার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জহুরুল হক হল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম মিছিল বের হয়। সামরিক শাসনামলে মিছিল মিটিং ও সমাবেশের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে- গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সংগঠিত করা অবস্থায় এরশাদের সামরিক শাসন বিরোধী প্রথম ৪৮ ঘন্টা হরতালে দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত এলাকা থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হন এবং অমানবিক, অবর্ণনীয় ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হন। তাকে দীর্ঘদিন ডিটেনশন দিয়ে জেলহাজতে আটক রাখা হয়। পরবর্তীতে আইনী প্রক্রিয়ায় তিনি মুক্তি পান।

১৯৮৩-১৯৮৪ সেশনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জহুরুল হক হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত সততা ও দক্ষতা, সাহস ও সুনামের সঙ্গে উক্ত দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৯-১৯৯০ সেশনে ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে সুলতান-মুশতাক প্যানেলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র-ছাত্রী সংসদ (ডাকসু’র) সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন নেতা হিসাবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে সবসময় বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও পরামর্শে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। উক্ত সংগঠনের তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন।

প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন আলহাজ্ব মকবুল হোসেন (সাবেক সংসদ সদস্য, ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর)।

২০০৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে কৃ‌ষি‌বিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম (সাবেক এম‌পি) সভাপতি ও পংকজ নাথ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তিনি সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ঐ কমিটিতে দীর্ঘদিন তিনি সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৭-২০০৮ সালে জরুরী অবস্থা চলাকালীন সময়ে সভাপতি কৃ‌ষি‌বিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম দেশান্তর এবং সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ গ্রেপ্তার হলে ক্রান্তিকালে তিনি সংগঠনের দায়িত্বভার নেন। ২০০৭-২০০৮ সালে জরুরী অবস্থার সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলে অন্তরীন থাকা অবস্থায় নেত্রীর মুক্তির দাবীতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারোর লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলা ও মহানগরে সংগঠনের নেতা কর্মীদের সংগঠিত করেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও পরামর্শে সংগঠন পরিচালনা করেন এবং নেত্রীর মুক্তির জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন।

তিনি উক্ত সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বর্তমান শেখ হাসিনার মুক্তির লক্ষ্যে অন্যান্য আইনজীবিদের সঙ্গে আইনজীবি হিসাবে প্রতিনিয়ত বিশেষ আদালতে মামলা পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃ‌ষি‌বিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১২ সালে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তিনি স্বেচ্ছা‌সেবক লী‌গের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং পংকজ নাথ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি অদ্যাবধি সততা, দক্ষতা, বিশ্বস্ততার সঙ্গে সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন সহ সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছিলেন।

শেখ হাসিনা কর্তৃক অর্পিত দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলার টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রুপসা হতে পাথুরিয়া পর্যন্ত এমনকি দেশের বাহিরে বিভিন্ন দেশে অতি দ্রুত কমিটি দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে সুসংগঠিত করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীবৃন্দের কাছে অত্যন্ত আস্থাভাজন ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) এবং এলএলএম উত্তীর্ণ হন। প্রাক্তণ ছাত্র ও ছাত্রীদের সংগঠন বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ আইন সমিতির বর্তমানে প্রায় ২৮০০ এর উর্ধ্বে সদস্য রয়েছেন। বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্যগণের মধ্য থেকে জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার, একধিক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, ৩১ জন সুপ্রীম কোর্ট এর বিচারপতি, সিনিয়র সচিবসহ একাধিক সচিব, ২০০-র মত জেলা জজ, প্রায় ১০০০ সদস্য অতিরিক্ত জেলা জজ ও নিম্ন আদালতে বিচারক হিসাবে, প্রশাসন, কাষ্টম্স, পুলিশ ও অন্যান্য ক্যাডারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে জ্যাক ব্যাঞ্চে উর্ধ্বতন পদে, প্রায় ১০০০ সদস্য সুপ্রীম কোর্ট ও বিভিন্ন জেলা জজ কোর্টে দক্ষ আইনজীবি, সরকারী আইন কর্মকর্তা হিসাবেও অনেকেই সফল ব্যবসায়ী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করার জন্য মহামান্য হাইকোর্টে আলহাজ্ব অ্যাড. মোল্লা মো. আবু কাওসার ভাই হয়ে রীট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট রায় প্রদান করেন ১৫ই আগস্ট কে জাতীয় শোক দিবস পালন করার জন্য। ঐ সময় বিএনপি জামাত সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনি রীট পিটিশন দায়ের করেছিলেন।

বর্তমানে অ্যাড. মো. আবু কাওসার প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন "ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন" এর নবনির্বাচিত মহাসচিব হিসেবে দ্বায়িত্বরত আছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সকল এই দুঃসময়ের কান্ডারী/বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড- আলহাজ্ব অ্যাড. মোল্লা মো. আবু কাওসার ভাইকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ" এর আগামী ডিসেম্বর ২০২২ এর সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করে জননেত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করবেন বলে বাংলার ১৮ কোটি মানুষ বিশ্বাস করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়