প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:০৩
ফখরুল-আব্বাসদের নির্যাতন করা হচ্ছে: বিএনপি
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দী জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির হাই কমান্ড জানিয়েছে, কারাবন্দী নেতাদের তালাবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। মানসিক নির্যাতনে রাখা হচ্ছে তাদের। এটা মানবাধিকার ও সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে দলটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স।
বিএনপির দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইমরান সালেহ বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ শীর্ষ নেতারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের (বহুমূত্র) মতো বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। গায়েবি মামলায় বয়োজ্যেষ্ঠ এই নেতাদের কারাবন্দী করায় তাদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটছে। কারাগারে তারা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনেরা।
এসময় বিএনপির নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন ইমরান সালেহ। তিনি বলেন, কারাগারে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, অতীতে তা দেখা যায়নি। কারাবিধি অনুযায়ী, তাদের সেলের তালা দিনের বেলায় খুলে দেয়ার কথা। কিন্তু প্রায় ২৪ ঘণ্টা তাদের তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হচ্ছে। ভেতরে তাদের মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে তাদের আত্মীয়-স্বজন জানিয়েছেন।
৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এতে ৭২৫ জনের নাম উল্লেখসহ দুই হাজার ৯৭৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় ফখরুল ও আব্বাসের নাম ছিলো না।
পরবর্তীতে ৮ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ফখরুল ও আব্বাসের বাসায় পৃথক অভিযান চালিয়ে দুজনকে প্রথমে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর অব্যবহিত সময় পর রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর ফখরুল ও আব্বাসকে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।