রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৩৭

শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে: ফখরুল

শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে: ফখরুল
অনলাইন ডেস্ক

আগামী ১০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, বিএনপি যেন শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারে সেই ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। এছাড়া আজকের ঘটনা ও হত্যার সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৭টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, এরই মধ্যে আমাদের দুজন ছাত্রনেতা শহীদ হয়েছেন। আমি যখন এখানে আসি তখন দেখি পুলিশ গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। আমি তখন ভেতরে ঢুকতে চাই। কিন্তু পুলিশ আমাকে ঢুকতে দেয়নি। আমাকে এখানে আটকে রাখা হয়। এখন পর্যন্ত যেটা লক্ষ্য করছি পাঁচশর বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা আছেন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তারা আমাকে অফিসে ঢুকতে দিচ্ছে না। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংবিধান লঙ্ঘন ও গণতন্ত্রের প্রতি চরম একটা বাধা।

অবিলম্বে গ্রেফতারদের মুক্তি দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। এ ঘটনার জন্য যারা দায়ী, সেই পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এর আগে এদিন সকাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুরে নেতাকর্মীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। এসময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে দলের কার্যালয়ের সামনের সড়কে নেতাকর্মীরা দফায় দফায় মিছিল করেন। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন।

এদিকে, বিকেল ৪টার কিছু সময় পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সামনের সড়কে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সদস্য আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।

এসময় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা এ্যানী ও জুয়েলকে তুলে নিয়ে যায়। তবে সাংবাদিকরা ডিবির কর্মকর্তাদের কাছে তাদের আটক করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালামসহ প্রায় ৩৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

এর আগে নয়াপল্টন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়