প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৩৮
আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিতে আগুনসন্ত্রাস ও জঙ্গি নাটক: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার পতনের আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিতেই আগুনসন্ত্রাস আর জঙ্গি নাটকের ধুয়া তুলছে ক্ষমতাসীনরা। দেশে জঙ্গি ছিনতাই নাটক তৈরি করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য, জনগণের মূল দাবি ভিন্ন খাতে নেওয়া।’
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘দেউলিয়াত্ব ঘোচাতে দুর্ভিক্ষের নাটক? দেশ কোন পথে’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
কোনও ঝামেলা না করে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশের ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তারা (সরকার) এখনও সমাবেশের স্থান দেয়নি। দায়িত্ব এখন সরকারের। বিএনপি নিয়ম মেনে সমাবেশের আবেদন করেছে।’
সরকার হটাতে জনগণের ঐক্যের মধ্য দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারকে সরে যেতে হবে, নতুন নির্বাচন দিতে হবে, কোনও দলীয় সরকার নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট না দেখে আওয়ামী লীগ নেতারা মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরের রঙিন জীবন দেখছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দুর্ভিক্ষ হয়। আওয়ামী লীগের যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে, তাদের দুর্নীতি-লুটপাট দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ।’
আওয়ামী লীগ দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিধবা ভাতা বা দুস্থ ভাতার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কেটে নেয় আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগ এখন জাতির জন্য বোঝা হয়ে গেছে। এটা সরাতে না পারলে সবাই ডুবে যাবো। জনগণকে রক্ষা করতে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।’
‘জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দেওয়া এদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের আদালতে ব্যস্ত রাখছে। আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্জন নষ্ট করছে। আওয়ামী লীগ দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এমন কোনও খাত নেই, যেখানে দুর্নীতি হয় না।’ বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অনেক পুরনো রাজনৈতিক দল, তাদের জনভিত্তি আছে কিন্তু ক্ষমতার থাকার লালসায় তারা এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নতুন করে গায়েবি মামলা শুরু করেছে। ককটেল ফাটানোর কথা বললেও যে ঘটনা কেউ শোনেনি, দেখেনি, তা নিয়ে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। পুরনো নাটক শুরু করেছে সরকার। যেন বিএনপি মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, অন্যদিকে সরকার তার অপকর্ম করে যেতে পারে।’
এ সময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বক্তৃতা করেন।