প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২২, ০৪:২৫
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কানাডাকে যা জানালো বিএনপি
বাংলাদেশের গণতন্ত্র, আগামী নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাসকে অবহিত করেছে বিএনপি। সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে দলটি।
গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, কানাডা মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, জীবনের নিরাপত্তা, আইনের শাসনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। কানাডাসহ কয়েকটা দেশ এগুলোতে দৃঢ় অবস্থান নেয় সব সময়। তারা কিন্তু বাংলাদেশ সরকারকে বিভিন্ন সময়, তাদের ওয়েবসাইটে গেলে আপনারা দেখতে পারবেন সেটা, বাইলেটারেলি বলে আসছে যে বাংলাদেশে মানবাধিকার ইস্যু লঙ্ঘন হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট স্বাভাবিকভাবে আমাদের যে মানবাধিকার পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা ইত্যাদি সব বিষয়ে আলাপ হয়েছে সার্বিকভাবে। আমরা ভালো আলোচনা করেছি।
মানবাধিকার বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে আমির খসরু বলেন, কানাডার পক্ষ থেকে কনসার্ন তো আছেই। স্বাভাবিক। বাংলাদেশের জনগণের যে রকম কনসার্ন আছে, সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশগুলো, মাল্টিলেটারেল বডি এবং মানবাধিকার সংস্থা সবার যেমন কনসার্ন আছে, তাদেরও কনসার্ন আছে।
নির্বাচন ইস্যুতে আপনারা কী বলেছেন- জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, আমরা তো ভেতরে কী আলোচনা হয়েছে সেটা এখানে বলতে পারব না। এটা আপনারা বুঝতেই পারছেন।
কানাডার সাথে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যেকার সম্পর্কটা অনেক ডাইভারসিফাইড একটা সম্পর্ক। প্রথমত-কানাডায় আমাদের দুই বিলিয়নের ওপরে রপ্তানি হয়। কানাডা যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছিল সেটা বিএনপির সময়ে নেগোশিয়েট হয়েছিল। যার কারণে আজকে আমাদের রপ্তানির ডেসটিনেশন হয়েছে কানাডা। আমি তখন বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম, আমি কানাডার সাথে এ নেগোশিয়েট করেছিলাম। আমাদের বড় রপ্তানির জায়গা কানাডা। আমদানির জন্যও বাংলাদেশের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কানাডা। আমাদের মূল কিছু জিনিস যেমন গম, ডাল, ডাল জাতীয় খাদ্যদ্রব্য__এসবের একটা বড় অংশ কানাডা থেকে আমাদের দেশে আসে।
তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা আজকাল খুব আগ্রহী হয়ে উঠেছে কানাডায় লেখাপড়া করতে। প্রতিনিয়ত আমাদের ছেলে-মেয়েরা কানাডা যাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের একটা বড় বংশোদ্ভূত শ্রেণি বাস করছে যারা কানাডার অর্থনীতিতে ও সমাজে কনট্রিবিউট করছে।