প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২২, ১৫:৫৭
গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ষড়যন্ত্রের মুখে থেমে থাকবে না : কাদের
সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা কারও ষড়যন্ত্রের মুখে থেমে থাকবে না, অতীতেও থাকেনি, আগামীতেও থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিসহ দেশের একটি চিহ্নিত মহল মনস্তাত্ত্বিকভাবে ‘ডিনায়াল সিনড্রোম’-এ ভুগছে। দেশের সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন, জনমত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি কোনো কিছুর প্রতি তাদের কোনো ধরনের আস্থা নেই। বরবারই তারা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের পথ বেছে নেয়। তারা সব সময় নির্বাচন ছাড়া হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা চালায়।
তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে ঐতিহ্যগতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং বারবার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিরোধের মুখে তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংসের দায়ও বিএনপির। বিএনপি তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে নির্লজ্জভাবে দলীয়করণ করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করেছিল। দলীয় রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদটি পর্যন্ত হাইজ্যাক করেছিল বিএনপি। বিএনপি তাদের শাসনামলে দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছিল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ ও অসংবিধানিক বলে চূড়ান্ত রায় প্রদান করেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নামক দলটি কখনোই গণতন্ত্র চর্চা করে না এবং দল পরিচালনায়ও তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে না।
আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগ সব সময় সংবিধান, আইন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে রাজনীতি করে আসছে। সংবিধান অনুসারে এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করেই যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সব সময় একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। আমরা প্রত্যাশা করি, সব দলের অংশগ্রহণে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্রের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।