প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২২, ২০:৫৯
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন , পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের বুকে বিষজ্বালা বেড়েই চলেছে। আর এ থেকেই হতাশায় ভুগতে থাকা বিএনপি নেতারা আবোলতাবোল বলছেন।
ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জনগণের মত প্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন, আর সেই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অধিকতর গণতান্ত্রিক ও আধুনিক করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা কতটুকু, তা নির্বাচন দিয়ে দেখতে বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আসুন, যথাসময়ে নির্বাচন হবে সংবিধানসম্মতভাবে। মন্ত্রী বলেন নির্বাচনেই প্রমাণিত হবে, জনগণ কি ইতিবাচক রাজনীতির দিকে, নাকি নেতিবাচক রাজনীতির দিকে।
বাংলাদেশের জনগণ কি উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবেন, নাকি লুটপাটের পক্ষে রায় দেবেন, এমন প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদের। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে কাদের বলেন, দেশে যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, মানুষ কি উন্নয়ন আর অর্জনকে ভোট দেবেন, নাকি দুর্নীতিকে ভোট দেবেন?
সারাক্ষণ নির্বাচন–আতঙ্কে ভুগতে থাকা বিএনপি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়েই আগেভাগে তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ কথা–সে কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হলে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ দৃশ্যমান হবে—মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের দৃষ্টিতে নিরপেক্ষতার মানদণ্ড কী? তার প্রমাণ আপনারা ক্ষমতাসীন হয়ে বারবার দেখিয়েছেন।’
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি নেত্রী একসময় বলেছিলেন, দেশে শিশু আর পাগল ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ নয়, দেশবাসী জানে, যতক্ষণ বিএনপির ক্ষমতা দখলের পথ নিরাপদ না হবে, নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি না পাবে, তত দিন তাদের নিরপেক্ষতার মানদণ্ড নিশ্চিত হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তা এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারার মানসিকতাই এখন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রধান অন্তরায়।
জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির রাজনীতি ক্ষমতা দখলের রাজনীতি—এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতার প্রশ্নে তাদের কাছে স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্র সবই সমান। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের মন্ত্র ও ক্ষমতার তন্ত্রে বিভোর বিএনপির এ দেশের গণতন্ত্র, জনমত, নির্বাচন এবং রাজনীতির অর্থবহ ও কল্যাণকর কোনো পন্থায় আস্থা ছিল না, এখনো নেই।
কাদের বলেন, জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস। এ দেশে এ যাবৎ নির্বাচন ব্যবস্থার যতটুকু উন্নতি হয়েছে, বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারই এ উন্নতি করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করেনি শেখ হাসিনা সরকার বরং অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছে।
দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা রাতদিন সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছেন, মিডিয়ায় ঝড় তুলছেন, সংসদে আনুপাতিক হারের চেয়ে বেশি সময় পাচ্ছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন পার্লামেন্টে, পার্লামেন্টের বাইরে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি থেকে গণতন্ত্র শিখতে চাই না, বিএনপির গণতন্ত্রের মূলে রয়েছে জনগণের অধিকার হরণ, ভোটারবিহীন নির্বাচন, হ্যাঁ-না ভোট, সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার, আগুন সন্ত্রাস আর দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ।
সূত্র: প্রথম আলো