প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২২, ০৯:৪৯
প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন, বাঙালি জাতি মাথানত করতে পারে না
সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এই সেতু আমাদের সক্ষমতার ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে আমরা একইভাবে আনন্দ করব। এটা আমাদের জন্য আরও একটি বিজয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, বাঙালি জাতি কারো কাছে মাথানত করতে পারে না।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতেই কেন্দ্রীয় ১৪ দল এই সমাবেশ ও আনন্দ মিছিলের আয়োজন করে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তির মূল ভিত্তি এ দেশের জনগণ। আমাদের বিদেশে কোনো প্রভু নেই। আওয়ামী লীগ কোনো শক্তির কাছে জিম্মি নয়, আওয়ামী লীগের শক্তি এ দেশের জনগণ। জনগণ যাদের ক্ষমতার উৎস, তাদের অন্য কারো শক্তির কাছে জিম্মি হতে হয় না।
২৫ জুন বাঙালি জাতির জন্য আরও একটি বিজয় মন্তব্য করে আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৭১ সালে বিজয় লাভ করার পর দেশবাসী যেভাবে আনন্দ করেছিল, ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে আমরা একইভাবে আনন্দ করব।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এই সেতু আমাদের সক্ষমতার ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। পদ্মা সেতুু বাংলাদেশের মানুষের জন্য গৌরবের।
অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখতে হবে। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তাদের আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এ দেশের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বলেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তেমনি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসকে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় ১৪ দলর নেতা ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান প্রমুখ।
পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জিপিও, পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।