বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩৩ °সে

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৬

‘শহীদ-আহতদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে মূল্যায়ন করে জামায়াত’

‘শহীদ-আহতদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে মূল্যায়ন করে জামায়াত’
অনলাইন ডেস্ক

জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের জাতীয় সম্পদ হিসেবেই মূল্যায়ন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অন্যদের মতো করে না। করবেও না। শহীদদের নিয়ে যারা রাজনীতি করে করুক।

সোমবার (৩ মার্চ) আন্দোলনে আহত, পঙ্গু, শহীদ পরিবারের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, যেই মা-বাবা সন্তা হারিয়েছে, যে বোন স্বামী হারিয়েছে, যেই সন্তান পিতা-মাতা হারিয়েছে তারা গত বছর রমজানে একত্রে সেহরি ও ইফতার করেছে। এবছর সেই স্মৃতি মনে করে সেহরি ও ইফতার তৃপ্তিতে করতে পারে না। এই বেদনা সহ্য করার নয়।

এসময় তিনি এবারের ঈদ শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীদের সঙ্গে পালনের ঘোষণা দেন।

জামায়াত আমির বলেন, শহীদদের নিয়ে প্রকাশিত শহীদ স্মরণিকা ঈদের পরপরই প্রত্যেক শহীদ পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হবে।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে রাজধানীর লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলপূর্বক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন বলেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে এখন পর্যন্ত কারো ভাবনা চোখে পড়েনি। একমাত্র জামায়াতে ইসলামীর আমিরের নির্দেশে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে এবং আহতদের খুঁজে-খুঁজে চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এর সাক্ষী উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারী ভাই-বোন।

তিনি উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের উদ্দেশে বলেন, নতুন বাংলাদেশ আপনাদের। গণ-অভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রাখতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বুয়েটের অধ্যাপক প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম, সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মুজাহিদের ছেলে আলী আহম্মদ তহকীক।

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে গিয়ে আহত-পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তারা ইসলামের দৃষ্টিতে গাজী এবং গণহত্যার শিকার সবাই শহীদ।

তিনি বলেন, আমাদের শহীদেরা যেই স্বপ্ন দেখেছে, একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা। সেই স্বপ্নের বীজ জামায়াত তার প্রতিষ্ঠাকালেই বুনেছে। জামায়াত দীর্ঘকাল ধরে সেই আন্দোলনই করে আসছে।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন— জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসাইন, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ কামাল হোসাইন ও মো. শামসুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম, সাঈদী পুত্র শামীম সাঈদী, কাদের মোল্লার ছেলে জামিল হাসান। এছাড়াও শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারী ১ হাজারের অধিক ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়