প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩৮
যথাশীঘ্র নির্বাচনে গুরুত্ব বিএনপির, প্রত্যাশা মির্জা ফখরুলের
যথাশীঘ্র গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এনপিপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
‘জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই’- শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা। কারণ, আমরা সবাই রাজনৈতিক কর্মী। আমরা রাজনীতি করি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। তাই, অল্প সময়ের মধ্যে আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন- এটা আমাদের প্রত্যাশা।’
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্র মেরামত কিংবা পরিবর্তন অথবা সংস্কার- যাই বলা হোক না কেন তা অবশ্যই করতে হবে যুগোপযোগী- এ কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কঠিন এক সময় পার করছি। এই সময়ে আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করলে রাষ্ট্র বিপদে পড়ে যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পলিটিক্যাল কোনো লোক নেই। আর রাজনীতিবিদ ছাড়া কোনো সংস্কারই সফল হতে পারে না। তাছাড়া, বাংলাদেশের রাজনীতিও সহজ নয়। তবে, আমরা ধৈর্য্যের সঙ্গে কাজ করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। এই সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কিছুই করেননি, এটা বলা ঠিক হবে না। এরই মধ্যে তারা নির্বচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি ঘোষণা করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল সার্চ কমিটি ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করে দলগুলোর পরামর্শ নেওয়া হবে। কিন্তু তা করা হয়নি।’
এই অনুষ্ঠানে বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকারের ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে দেশের মানুষ ভালোবাসে। এজন্য তার অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত, যাতে মানুষের কাছে তাঁর এ অবস্থান নষ্ট না হয়। আমরা প্রত্যাশা করবো, সংস্কার কমিটির সদস্যরা দ্রুতই সব রিপোর্ট জনগণের সামনে উন্মুক্ত করবেন। তবে এমন কিছু করা যাবে না, যা দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়।’