প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৭
বুয়েটের ঘটনা তদন্ত হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বুয়েটের ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। সেখানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে একটি অপরাজনীতি, জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত করা হবে, সেটা যাতে না হয়। আমরা তদন্ত করে দেখছি। এরকম কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।
রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে চট্টগ্রাম বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুয়েটে সেদিন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। আর আমি রাজনীতি করি বলে বুয়েটে যেতে পারবো না, এটা কোন ধরনের আইন? কোন ধরনের নিয়ম?
মতবিনিময় সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
বলেন, নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আমরা এমপি-মন্ত্রীরা যদি হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকি তাহলে বিনা প্রতীকে নির্বাচন করার যে উদ্দেশ্য নেত্রী করেছেন, তা স্বার্থক হবে। কেউ ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। যার নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে, করবেন। সে স্বাধীনতা আছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জনগণ যাকে ইচ্ছা নির্বাচিত করবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, যদি কোনো অনিয়ম মনে করে তারা ব্যবস্থা নেবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা নির্বাচন। কাজেই আমাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ভালোভাবেই চলছে সবকিছু। এরমধ্যে দায়িত্বশীলদের এমন কিছু কথাবার্তা দলকে সংকটে ফেলে। ফ্রি স্টাইলে যা কিছু বলবেন, এটাতো আওয়ামী লীগ নয়। দলের গঠনতন্ত্র নিয়মকানুন আছে। এগুলোর অ্যাকশন আমরা নেবো। এরই মধ্যে কিছু অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা বিভিন্নজন... কেউ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। আবার কেউ ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেন। সেই পাকিস্তানি আমল থেকে যে ভাষায় আইয়ুব খান কথা বলেছে, আজ সে ভাষায় কথা বলছে বিএনপি। তাদের সব ইস্যুই মার খেয়েছে ভোটে পরাজিত হয়ে। এখন তাদের ইস্যু ভারত বিরোধিতা। অ্যান্টি ইন্ডিয়া ফোবিয়া তৈরি করার ইস্যু খুঁজে নিয়েছে।
রিজার্ভ নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায় তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। আর তারা এখন রিজার্ভ নিয়ে কটাক্ষ করে। যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে, ঈদ উপলক্ষে সে রিজার্ভ আরও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তারা না জেনে শুনেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে।
বাজারদর নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু পণ্যের দাম কমেছে। বাজার ওঠানামা করবেই। বিশ্ব সংকট এর জন্য দায়ী, আর শাস্তি পাচ্ছি আমরা। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই এ সংকট অতিক্রম করার সাহস আমরা পাচ্ছি। ইনশাল্লাহ, এ সংকট কেটে যাবে।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্মেলন করে সেখানে কমিটি গঠন করা হবে। ঢাকা থেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে কেন কমিটি গঠন করতে হবে?
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, ডাক্তার দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ চট্টগ্রাম বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতারা।