প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:২৩
আফরিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে খসরু বললেন, ‘কিছুই বলার নেই’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘উনারা আমাদের আমন্ত্রণ করেছেন… আমরা এসেছি… কথা-বার্তা বলেছি। এতটুকু বলতে পারবো… এর বেশি কিছু বলার নেই।’
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এ বৈঠক শুরু হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে কি কথা হয়েছে জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কথা হয়েছে, উনারা দাওয়াত করেছেন। আমরা এসছি… দ্যাটস অল।’
আপনারা কি বলেছেন প্রশ্ন করা হলে আমীর খসরু বলেন, ‘কিছু বলার নেই।’ দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটাই উত্তর হবে কিছু বলার নেই।’
বিএনপি মহাসচিব কারাগারে ছিলেন, আপনিও কারাগারে ছিলেন এ বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা যত প্রশ্ন করবেন… আমার উত্তর হচ্ছে কিছু বলার নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।
উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার ছাড়াও বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে,বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ।
এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছান তিন সদস্যবিশিষ্ট মার্কিন প্রতিনিধিদল। আফরিন আক্তার ছাড়াও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর এলিন লাউবাকের, ইউএসএআইডির এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার।
এসফরে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ছাড়াও তরুণ অধিকারকর্মী, সুশীল সমাজের নেতা, শ্রম সংগঠন এবং সেন্সরবিহীন গণমাধ্যমের বিকাশে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও বৈঠক করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল।
এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার। সেসময় বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেন তিনি।