প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৩
দেশে বিএনপির চেয়ে বড় উগ্রবাদী কারা, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
দেশে বিএনপির চেয়ে বড় উগ্রবাদী কারা, এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশে উগ্রবাদের জন্ম বিএনপির হাত ধরে। আজ মির্জা ফখরুল কেন বলেন না, তাদের কথামতো না চললে দেশে উগ্রবাদ চলবে? সরকার আত্মশক্তিতে বলিয়ান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বেফাস কথা বলে না, বিএনপিই বলে। বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো বেপরোয়া রাজনীতির চালক মির্জা ফখরুল। রাজনীতিতে বিএনপি দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়। অতীতে তাদের এ ইতিহাস আছে। এ দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি তারা বারে বারে ঘটাতে চায়। এছাড়া রাজনীতিতে টিকে থাকার তাদের আর কোনো রসদ নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যাদের হাতে রক্তের দাগ, যারা এদেশে হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল, মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ড ৭৫ এর ১৫ আগস্ট, যার মাস্টারমাইন্ড ছিল খন্দকার মোস্তাকের সঙ্গে জেনারেল জিয়াউর রহমান। অবাক লাগে, নিজেরাই যেসব অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের উপর আরোপিত অভিযোগ নতুন করে আরোপ করতে চায় আওয়ামী লীগের উপর।
‘২০০৪ সালের একুশে আগস্ট সন্ত্রাসী হামলায় ২৩ জনের প্রাণ ঝরে গেছে। এসব হত্যাকাণ্ড বিএনপির আমলে সংঘটিত হয়েছিল। এরপর মির্জা ফখরুল হঠাৎ এক বিবৃতিতে কোথা থেকে পেলেন, আওয়ামী লীগ নাকি হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে? একুশে আগস্ট জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল তারা। এমন নাটক তারা বারে বারে সাজিয়েছে। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য। নিজেদের কৃতকর্মের দায় অপরের উপর চাপাতে তাদের অপকর্ম এখনো অব্যাহত আছে।’
বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কোথায় ঘুরে দাঁড়াবে সেটা আমাদের জানা নেই। এ কথা আগেও শুনেছি। কোন বছর ঘুরে দাঁড়াবে? চৌকস কথার ফুলঝুরি অনেক শুনেছি। সে কথা বারে বারে বলতে গিয়ে বিএনপি নেতারা জনগণের কাছে নিজেদেরই খাটো করছেন। দেশে আন্দোলনের কোনো বস্তুগত ইস্যু নেই। তারা গায়ে পড়ে ইস্যু খুঁজে বেড়ায়।
মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ওখানে এখন যেটা দরকার, তা হলো ইনটেলিজেন্ট ডিপ্লোমেসি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সব পক্ষের গতিবিধি লক্ষ্য করে, যুদ্ধ পরিহার করে শান্তির জন্য ইন্টেলিজেন্ট ডিপ্লোমেসি প্রয়োগ করছে বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।