প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪১
‘ইসরায়েলি হানাদারদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বিএনপি’
‘৭ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বলেছেন, আপনারা সতর্ক থাকবেন, ইসরায়েলি হানাদারদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বিএনপি। লন্ডনের নির্দেশে তারা খুন-খারাবি করতে পারে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ এর কবিরহাটের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আপনাদেরকে। কেউ আবার মনে করবেন না কাদের ভাইতো হয়ে গেছে। এ বলে বাড়িতে বসে থাকলে চলবে না। কারণ এবার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের যারা প্রতিপক্ষ, যারা এবার নির্বাচনে নেই তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে না আসে। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। আমাদেরকে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সেই অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে। ১৫ আগস্ট মোশতাক-জিয়া বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে এবং ২১ আগস্ট খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া শেখ হাসিনাকে খুন করতে চেয়েছিল। তারা আবারও খুনের পরিকল্পনা করছে।
বিএনপিকে আগুন সন্ত্রাসের দল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বাস-ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মারছে। তারা ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হানাদারদের থেকেও বর্বর। তারা আবারও কোনো প্রার্থী বা নামি নেতাকে খুনের পরিকল্পনা করতে পারে। তাদের এসব পরিকল্পনা প্রতিহত করতে হবে। এজন্য সতর্ক থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, তারেক জিয়া পালিয়ে গেছে, দেশে আসার সৎ সাহস নাই। ইলেকশনের আগে তারা বলেছিল শেখ হাসিনার পালাবার পথ নাই। কিন্তু শেখ হাসিনা পালায়নি। সিলেট-বরিশালে তিনি (শেখ হাসিনা) যে সমাবেশ করেছেন তাতে লাখ লাখ লোকের উপস্থিতিতে বোঝা যায় তারা শেখ হাসিনার পক্ষে আছে এবং তারা ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যেতে উন্মুখ হয়ে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা অস্ত্রবাজি এবং গোলা-বারুদে বিশ্বাস করি না। আমাদের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে দেশের জনগণ। এ অস্ত্র দিয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা ভাগ্যবতী শেখ হাসিনা আবারও বিজয়ী হয়ে টানা চতুর্থ বার এবং পঞ্চম বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
তিনি বলেন, বিদেশি শক্তি ইলেকশন নিয়ে ভালো পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করবো। কিন্তু বিএনপির সুরে ইলেকশনের ক্ষতি হয় এমন শক্তিকে উসকানি দিলে আমরা তা মেনে নেবো না। মনে রাখবেন বাংলাদেশের এবারের নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই। সেই লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিন।
এ সময় ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার শিউলি, ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নিজের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের চাপরাশিরহাট, জনতা বাজার, আলগী রাস্তার মাথা, আলগী বাজার, মকবুল চৌধুরীর হাট, আমিন বাজার, চিরিঙ্গা ল্যাঙ্গার দোকান, নলুয়া ভুঁইয়ারহাট, আবদুল্যাহ মিয়ার হাট, কালামুন্সী বাজার ও বাটইয়া ভুঁইয়ারহাটে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন।