রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৪

‘বিএনপির মতো এমন হামলা পাকিস্তানিরাও চালায়নি’

‘বিএনপির মতো এমন হামলা পাকিস্তানিরাও চালায়নি’
অনলাইন ডেস্ক

পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলাকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার সঙ্গে তুলনা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, একাত্তরে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীও বিএনপির মতো এমন হামলা চালায়নি। পুলিশ সদস্য হত্যাসহ শনিবারের সহিংসতার সব ঘটনায় সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচারের জন্য আমরা সবকিছু করছি।

রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজারবাগে নিহত পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজের জানাজার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, গতকাল বিএনপি মহাসমাবেশ কর্মসূচির নামে বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে। পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির হামলার এ উদাহরণকে আমরা বর্তমানে ফিলিস্তিনে গাজা উপত্যকায় যেভাবে হামলা চলছে তার সঙ্গে মেলাতে পারি।

আপনি নিজেই বলেছেন একটা ভীতির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নিরাপত্তা সম্পর্কে কিছু বলবেন। আজও বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। যাত্রী বেশেও বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এর জবাব আমাকে দিতে হবে না। গণমাধ্যমের কাছেই আছে। গতকাল যা ঘটেছে তা প্রকাশ্যে ঘটেছে। শুধু গণমাধ্যম নয়, সিসিটিভি, পুলিশের নিজস্ব ক্যামেরায়ও জবাব রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও একটি অনুষ্ঠানে অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হাত-পা ভাঙা হয়েছে। ক্যামেরা ভাঙা হয়েছে। হামলাকারীদের অনেকে সাংবাদিক বেশে এসেছিল। তারাও এসেছিল ব্যাগ নিয়ে। ব্যাক-প্যাকের ভেতর থেকে বের হয়েছে ককটেল। যারা অপপ্রচার করছে, দেশে-বিদেশে থেকে কল্পনাপ্রসূত তথ্য প্রচার করছে। আমি মনে করি, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এসব করা হচ্ছে। শুধু পুলিশ, নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী, রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী নয়, পুলিশ-সাংবাদিকসহ নগরবাসী মিলে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এক্ষেত্রে মূলধারার গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিরোধীদলের অফিস বন্ধ করা হয়েছে, আটক-গ্রেফতার চলছে। কদিন পর নির্বাচনী তফসিলও ঘোষণা করার কথা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফেয়ার প্লে গ্রাউন্ড ভণ্ডুল হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এগুলোর সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন বা তফসিলের কোনো সম্পর্ক নেই। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা। ঢাকাকে শান্ত রাখা ও নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এসব কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়