প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১৫
কোনো অপশক্তিই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির রাজনীতি বিদেশি প্রভুদের কৃপা নির্ভর
কোনো অপশক্তিই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। অসাংবিধানিক ও বেআইনিভাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রাকে সুমন্নত রেখে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।
সোমবার (২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বিবৃতিতে সই করেন। বিবৃতিতে তিনি বিএনপি নেতৃবৃন্দের দুরভিসন্ধি ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল ও নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অতীতের ধারাবাহিকতায় তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। একইসঙ্গে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রা ব্যাহত করতে চায়। বিগত দিনে দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীতেও সেই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে সারাদেশে আগুন সন্ত্রাস করেছে। তারা শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। নির্বাচন প্রতিরোধের নামে ৩ হাজারের বেশি মানুষ পুড়িয়েছিল, ৫ শতাধিক ভোটকেন্দ্র ও স্কুলসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিয়েছিল।
এজলাসে বসা বিচারককে বোমা মেরে হত্যা ও আইনজীবীকে হত্যা করেছিল। রেল লাইন উপড়ে ফেলেছিল। হাজার হাজার গাছ ও রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। কোনো রাজনৈতিক দল নিজ দেশের মানুষের উপর এমন প্রতিহিংসামূলক আচরণ করতে পারে! বিএনপির কর্মকাণ্ড বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছিল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দুর্নীতির বরপুত্র পলাতক আসামী তারেক রহমান লন্ডনে বসে রমরমা মনোনয়ন বাণিজ্যে মেতে ওঠেছিল। ৩০০ আসনে প্রায় ৭৫০ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিল। আজ তারা যখন বলে ‘নির্বাচন হতে দেবো না’ তখন দেশের মানুষ স্পষ্টতই বুঝতে পারে, দেশের জনগণ, গণতন্ত্র, সংবিধান ও আইন কোনো কিছুর প্রতি বিএনপির দায়বদ্ধতা নেই।
বিএনপিকে অবৈধ রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে কাদের বলেন, অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতাদখলকারী স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস গণতন্ত্রবিরোধী, অসাংবিধানিক ও বেআইনি কর্মকা-ের ইতিহাস। ক্ষমতাকে কেন্দ্রবিন্দু করেই পরিচালিত হয়ে আসছে বিএনপির রাজনীতি। হ্যাঁ/না ভোটের প্রহসন, জাতিকে কারফিই মার্কা গণতন্ত্র উপহার, ১৫ই ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন, সাদেক-রউফ-আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি এবং একুশে আগস্টের মতো গণহত্যার মধ্য দিয়ে বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার অপচেষ্টাসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা বিএনপি সংঘটিত করেনি।
বিএনপির রাজনীতি বিদেশি প্রভুদের কৃপা নির্ভর মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ববলেন, বিএনপি কখনো জনকল্যাণ, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্যোন্নয়নের রাজনীতি করেনি। সেজন্য বিএনপির রাজনীতি বিদেশি প্রভুদের কৃপা নির্ভর! জনগণ, গণতন্ত্র ও কল্যাণকর রাজনীতির প্রতি বিএনপির ন্যূনতম বিশ্বাস থাকলে এদেশের গণতন্ত্রে কোনো সংকট সৃষ্টি হতো না।