প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:০৩
শান্তি-উন্নয়নের পক্ষে আবারও নৌকায় ভোট দিন: নসরুল হামিদ
শান্তি-উন্নয়নের পক্ষে আবারও নৌকায় ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মী সমাবেশে এ আহ্বান জানান তিনি।
এসময় মন্ত্রী বলেন, কেরানীগঞ্জ এক সময় ছিল বাতির নিচে অন্ধকার। ঢাকার খুব কাছে হওয়ার পরও এখানে আগের সরকারগুলো বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত এবং স্বৈরাচারী সরকারের আমলে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা সরকার কেরানীগঞ্জের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। একসময় সন্ত্রাসের রাজত্ব, সন্ত্রাসের জনপদ বলে যে কেরানীগঞ্জ পরিচিত ছিল সেই কেরানীগঞ্জে এখন শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।
এসময় মন্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির আমানউল্লাহ আমানের সময়ে শুধুমাত্র ঢাকা-৩ আসনেই এক লাখ ৩০ হাজার ভুয়া ভোটার ছিল। সারাদেশে এক কোটি ২১ লাখ ভুয়া ভোটার করা হয়েছিল বিএনপি-জামায়াতের সময়।
যারা ভুয়া ভোটার লিস্ট করে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় তাদের প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বৈরাতান্ত্রিক এবং সামরিক একনায়কেরা যেসব দল গঠন করেছে সেসব দলের নেতাকর্মীরা এখন গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু এ দেশে প্রথম অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে ভোট ডাকাতির সূচনায় করেছিল অবৈধ প্রেসিডেন্ট জিয়া। তাদের নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
এসময় কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কিছু উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ একরের বেশি জায়গায় দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস হবে এখানে। চার লেনের তিনটি রাস্তা হচ্ছে এখানে। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ আরও অনেক উন্নয়ন হয়েছে এখানে। প্রত্যেকটি গ্রামীণ রাস্তাঘাট এখন উন্নত। আগে যে রাস্তা মানুষ চলাচলের অনুপোযোগী ছিল এখন সেগুলো মানুষ চলাচল নির্বিঘ্ন হয়েছে। এই এলাকায় যে সন্ত্রাসের রাজত্ব, জনপদ বলে পরিচিত ছিল তা গত ১৫ বছরে কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। মানুষ এখন শান্তিতে আছে।
কর্মীসভায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই.মামুনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।