প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৩:০৭
বেঈমানকে ছাড় দেয়া যাবে না: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, বেঈমান, মুনাফেককে চিহ্নিত করতে হবে। আজকের দিনেও তাদের কোনো ছাড় দেয়া যাবে না।
সোমবার (৭ আগস্ট) মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল ওসমানীর প্রথম এডিসি ছিলেন। দুই নম্বর এডিসি ছিলো খুনী নূর। পঁছাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা আমাদের বাসা আক্রমণ করে বাবাকে, মাকে হত্যা করে। তারপর ঘাতকেরা ৩২ নম্বরে অবস্থানকারী খুনী চক্রকে জানায়। এরপর খুনী চক্র ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসার ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করে। গুলি করতে করতে যখন ওরা বঙ্গবন্ধুর বাসার ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করলো তখন গুলির আওয়াজে শেখ কামাল ঘুম থেকে ওঠে গেলেন। তিনি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সবাইকে ডাকার চেষ্টা করলেন। কাউকে পাওয়া গেল না। তিনি অস্ত্র নিয়ে নিচে নামলেন এবং খুনীদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেন। তখন তিনি দেখলেন যে তার ব্যাচমেট (খুনী নূর সেখানে দাঁড়িয়ে আছে)। সেনাবাহিনীতে ব্যাচমেটরা একে অপরের অনেক কাছের বন্ধু হয়ে যায়। একে অপরকে অনেক বিশ্বাস করে, আস্থা রাখে। কিন্তু সেখানে এত বড় বেঈমান, এত বড় মোনাফেক খুনী নূরকে দেখে তিনি হতভম্ব হয়ে গেলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনিছুর রহমান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
শেখ তাপস বলেন, বেঈমান-মোনাফেক আমাদের পাশে থাকে, সঙ্গে থাকে। তাই তাদের চিহ্নিত করতে হবে। আজকের দিনেও তাদেরকে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না।
শেখ কামাল পরিপূর্ণভাবে তার পিতাকে অনুকরণ, অনুসরণ ও রপ্ত করেছিলেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বুঝে, অবুঝে সব সন্তানের কাছে তার পিতা একজন আইডল হন, একজন আইকন হন। সন্তান তার বাবাকে জ্ঞাতসারে, অজ্ঞাতসারে অনুকরণ করেন, অনুসরণ করেন এবং বাবার শিক্ষা-দীক্ষা নিজের মধ্যে রপ্ত করেন। শেখ কামাল পূর্ণরূপেই তার পিতাকে অনুকরণ করেছিলেন, রপ্ত করেছিলেন।