রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০৭

বিচার বিভাগকে দলীয় আঙিনা বানিয়েছিল বিএনপি: কাদের

বিচার বিভাগকে দলীয় আঙিনা বানিয়েছিল বিএনপি: কাদের
অনলাইন ডেস্ক

বিএনপির সময় বিচার বিভাগকে দলীয় আঙিনা বানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তিনি। এসময় তিনি বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের নেতারা দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। অথচ বিএনপির দুর্নীতিপরায়ণ শীর্ষ নেতৃত্বের অপরাধ দীর্ঘ বৈচারিক প্রক্রিয়া এবং সাক্ষ্য প্রমাণের মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের রায়ে তাদের শাস্তি হয়েছে।

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি চালু করেছিলেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় বিচারপতি নিয়োগের পথ সুগম করতে সংবিধান লঙ্ঘন করে চার বিচারপতিকে জোরপূর্বক বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল জিয়াউর রহমান। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন খালেদা জিয়া। বিচার বিভাগকে তারা দলীয় আঙিনায় রূপান্তরিত করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, হাওয়া ভবন থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো সব কিছু। বিএনপির আমলে তারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি পর্যন্ত মেরেছে। ল’ ডিগ্রি নেই এমন লোককে হাইকোর্টের বিচারক বানিয়েছিল এবং প্রমাণিত হওয়ার পর তিনি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন।

তারেক রহমানের সাজার বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের প্রতিনিধি এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন। জিয়া পরিবারের পাচার করা ৪০ কোটি টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে খালেদা জিয়াও সাক্ষ্য প্রমাণের মধ্য দিয়ে এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পরিচালিত হয়েছে।

বিএনপি নেতাদের নামে পরিচালিত এসব মামলায় সরকারের কোনো যোগসূত্র নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বর্তমান সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। সুদীর্ঘ বৈচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে আইনের নিজস্ব গতিতে তা পরিচালিত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়