এবার নুর-রাশেদকে অব্যাহতি দিলেন রেজা কিবরিয়া

গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রাশেদ খানকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া।

একইসঙ্গে তিনি নিজ পদাধিকারবলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও গণঅধিকার পরিষদের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা হাসান আল মামুনকে ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব মনোনীত করেছেন।

মঙ্গলবার (২০ ‍জুন) রাতে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দিন ‍শুভ এক বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন।

এর আগে সোমবার (১৯ জুন) দিনগত রাতে ড. রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে গণঅধিকার পরিষদের ১নং যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করেন নুরুল হক নুর।

এ নিয়ে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে আসছিল। তার মধ্যেই নুর-রাশেদকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেন ড. রেজা কিবরিয়া।

নুর-রাশেদকে অব্যাহতির তথ্য জানিয়ে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্র, ২১ দফা কর্মসূচি, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও মূলনীতিবিরোধী কাজ করা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান, মানি লন্ডারিং আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা, ইসরায়েলসহ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সভা আয়োজন ও অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনোনয়ন করা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব মো. নুরুল হককে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। একইসঙ্গে এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করায় কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খাঁনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। উভয়কে দলের দপ্তর বরাবর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়, একইসঙ্গে আমি ড. রেজা কিবরিয়া, আহ্বায়ক, গণঅধিকার পরিষদ সাংগঠনিক ক্ষমতাবলে পরবর্তী নির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সদস্যসচিব হিসেবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও অধিকার পরিষদের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা হাসান আল মামুনকে ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব মনোনীত করছি।

একইসঙ্গে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আন্দোলন বেগবান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।