প্রকাশ : ১৯ মে ২০২২, ১৬:২৫
পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের আরেক মামলা
এবার ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ১২ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এমএ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার ও এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিব প্রসাদ ব্যানার্জী ও পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা।
প্রসঙ্গত, পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে শিবশঙ্কর হালদার পরিচয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নেন তিনি। এ ছাড়া ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। অবশেষে শনিবার (১৪ মে) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অ্যানফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বর্তমানে ভারতে দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন প্রশান্ত কুমার হালদার।
মঙ্গলবার (১৭ মে) তিন দিনের রিমান্ড শেষে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে তাকে হাজির করে আরও ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ভারতের অ্যানফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আদালত তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার (১৭ মে) তিন দিনের রিমান্ড শেষে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে তাকে হাজির করে আরও ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ভারতের অ্যানফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আদালত তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, পি কে হালদার দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দুদক তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
সূত্র: আরটিভি