প্রকাশ : ১০ মে ২০২৩, ০৫:৩৩
ওয়াজেদ মিয়া দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্লোভ নিরহংকার প্রচারবিমুখ ড. ওয়াজেদ মিয়া দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’
প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া প্রধানমন্ত্রীর স্বামী পরিচয় কখনো ব্যবহার করতেন না। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যার জামাতা সেই পরিচয়ও দিতেন না। নিরহংকার এ মানুষের আচরণে এ পরিচয়গুলো কখনো বোঝার উপায় ছিল না।
তিনি বলেন, অত্যন্ত মেধাবী ড. ওয়ায়জেদ মিয়া পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরমাণু শক্তি কমিশনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়ে এর উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি বিরাট ভূমিকা রেখেছিলেন। আজকে যে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে, এটির প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনের ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিল। অর্থাৎ এ কনসেপ্টটি ধারণ করার ক্ষেত্রে এবং এটি করলে পরে দেশের জন্য কী ভালো হবে, সেটি তুলে ধরার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিল।
ড. হাছান বলেন, ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার যে অসুস্থতা সেটিও বেড়ে যায়, সে কারণেই তিনি ২০০৯ সালে ৯ মে ইন্তেকাল করেন। তার এ মৃত্যু দিবসে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া অনেক বইও লিখেছেন। তিনি তার কর্ম, প্রজ্ঞা ও দেশের প্রতি অবদানের কারণে যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে বেঁচে থাকবেন।’
সাংবাদিকরা এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, আমাদের দলের (আওয়ামী লীগ) সাধারণ সম্পাদকের কথা বিশ্বাস করেন না। আর জনগণ মনে করে মির্জা ফখরুল সাহেব সবসময় মিথ্যা কথা বলেন। এটিই বাস্তবতা। মির্জা ফখরুল সাহেবের গুণ না দোষ, এটিকে সাধারণ মানুষ দোষই বলবে যে, তিনি অবলীলায় সুন্দরভাবে মিথ্যা কথা বলতে পারেন, যা দুঃখজনক হলেও সত্য।’
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক যে কথাটি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আমরা বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চাই। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও তিনি কথা বলেছেন। আমাদের সদিচ্ছার কথাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেছেন। যারা নির্বাচনই চায় না, যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, তাদের কাছে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য এত শ্রুতিমধুর হবে না, এটি খুবই স্বাভাবিক।’
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘সরকার নির্বাচনে আসতে বিএনপিকে প্রলোভন দেখাচ্ছে’- এ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন বিএনপিকে প্রলোভন দেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বিএনপি নেতারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এটি মির্জা ফখরুল ও রিজভী সাহেবরা দেখতে পারবেন।’