প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৩, ০৪:৪১
সুদান থেকে দেশে ফিরলেন ১৩৬ বাংলাদেশি
অবশেষে সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন ১৩৬ বাংলাদেশি। বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
সোমবার (৮ মে) বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট তাদের নিয়ে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারা। এর আগে জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে রবিবার দিবাগত রাত ১টায় বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি এসব বাংলাদেশিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে।
যুদ্ধকবলিত সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে সরিয়ে নেয়া প্রায় ৭০০ বাংলাদেশির মধ্যে অন্তত ১৩৬ জনকে রবিবার সৌদি আরবের জেদ্দায় নেয়া হয়েছে। রয়্যাল সৌদি এয়ারফোর্সের ৩টি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের জেদ্দায় নেয়া হয়। এর আগে প্রথম দফায় ৭০ বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ ফ্লাইট রবিবার দুপুরে পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এদের মধ্যে নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় বিকালে সৌদি এয়ারফোর্সের আরেকটি বিশেষ ফ্লাইট ৬৫ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে জেদ্দায় পৌঁছায়। গত ৩ মে সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে ৬৭৫ বাংলাদেশিকে নিরাপদে পোর্ট সুদানে নেয়া হয়। দুই দফায় মোট ১৩টি বাসে করে তাদের সেখানে নেয়া হয়।
রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, সুদানে প্রায় এক হাজার পাঁচশ বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছেন। এদের মধ্যে যারা দেশে আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
সুদানে প্রায় দেড় হাজারের মতো বাংলাদেশি রয়েছেন। এরমধ্যে রাজধানী খার্তুমেই প্রায় ১ হাজার ২০০ বাংলাদেশির বাস। যুদ্ধকালীন প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরমধ্যে আটকে পড়া ৬৭৫ জন বাংলাদেশিকে গত ৩ মে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে আনা হয়।
আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ সুদানে গত এপ্রিলের মাঝ সময় থেকে দেশটির সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই চলছে। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক লোকের প্রাণ হারানোর কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। গত মাসের ১৫ এপ্রিল সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর হামলা হয় রাজধানী খার্তুমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে আটকে পড়া ৬৭৫ বাংলাদেশিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ৩ মে রাজধানী খার্তুম থেকে ৮৫০ কিলোমিটার পথ বাসে পাড়ি দিয়ে পোর্ট সুদানে নেওয়া হয় তাদের। পোর্ট সুদান থেকে জাহাজে করে জেদ্দায় নেওয়ার কথা কথা থাকলেও ট্রাভেল পারমিট ও জাহাজ পাওয়া নিয়ে জটিলতার কারণে এত দিন পোর্ট সুদানেই অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশিরা।