প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৫৬
ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী ১ মে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল তিনটা ৩৫ মিনিটে ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান। ওয়াশিংটন ডিসিতে ৭ দিনের সফর শেষ করে তিনি যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথ রাজ্যের রাজা ও রানী হিসাবে তৃতীয় চার্লস এবং তার স্ত্রী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান।
ওয়াশিংটন ডিসিতে সাতদিনের সফর শেষ করে তিনি যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথ রাজ্যের রাজা ও রানী হিসাবে তৃতীয় চার্লস এবং তার স্ত্রী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে তার ১৫ দিনের সরকারি সফরের প্রথম ধাপে সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়।
জাপানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা জানানো হয় এবং বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
তার জাপান সফরকালে ঢাকা ও টোকিওর মধ্যে কৃষি, মেট্রো রেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধা সম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা সহ আটটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । গত ২৬ এপ্রিল শেখ হাসিনা জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
একই দিনে তিনি চুক্তি স্বাক্ষরের পর তার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চারজন জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদানের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।
টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে বৈঠক এবং জাইকা, জেট্রো, জেইবিআইসি, জেবিপিএফএল ও জেবিসিসিইসি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকসহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা জাপানের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্ত্রী আকি আবে এবং একজন জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দোর সাথেও বৈঠক করেছেন।
বোন শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
আগামী ৯ মে লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।