প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ২২:৩৮
অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারের বিকল্প নেই
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানিখাতের অবদান ক্রমাগত বাড়ছে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে। এর ফলে স্বল্পোন্নত দেশ থাকাকালীন প্রাপ্ত অনেক অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ভবিষ্যতে আর থাকবে না। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারের বিকল্প নেই।
‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান উপলক্ষে রোববার (১৬ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থ বছরে জাতীয় রপ্তানিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কৃতি রপ্তানিকারকদের ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ দেওয়ার বিষয়টি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করবে বলে আমি মনে করি। আমি ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ বিজয়ী সব রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আবদুল হামিদ বলেন, এখন থেকেই আমাদের রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। রপ্তানি ট্রফি দেওয়ার মতো প্রণোদনামূলক কার্যক্রম রপ্তানিকারকের সক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের রপ্তানি বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে রপ্তানিকারকদের নিরলস পরিশ্রম আর আন্তরিক প্রচেষ্টা একান্ত প্রয়োজন। একই সঙ্গে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানার কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন, শ্রমিক-মালিক সম্পর্কোন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি। সবার সম্মিলত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাক, এ প্রত্যাশা রইলো। আমি জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০২০ দেওয়ার অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করছি।