প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০১:০০
হাবের আপত্তি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরার আশ্বাস প্রতিমন্ত্রীর
আগামী বছর হজের আগে বিমানভাড়া নির্ধারণ এবং এ বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোর আপত্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
রোববার (২ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) উদ্যোগে ‘হজ প্যাকেজ-২০২৩ ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘হজে যাতে কোন ত্রুটি না থাকে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত হজের নিবন্ধন চলবে। হজের নিবন্ধন পূর্ণ হয়ে যাবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানভাড়া নিয়ে তসলিম সাহেব (হাব সভাপতি) যেটা বলেছেন। আমি মানসিকভাবে চিন্তা করছি আগামী বছর হজের আগে বিমানভাড়া নিয়ে আরও কিছু আছে কি না বা কীভাবে এটি নির্ধারণ করা যায়, এটা যাতে বাড়তি না হয়- সেই ব্যাপারে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওনার (হাব সভাপতি) কথাগুলো উপস্থাপন করব, ওনাকে (প্রধানমন্ত্রী) জানাবো।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। আলোচক ছিলেন হাবের মহাসচিব ফারুক আহমেদ সরদার।
হাব সভাপতি বলেন, হজ প্যাকেজ ঘোষিত হওয়ার পর হজযাত্রী ও মুসলিম জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কিছুটা ক্ষোভ ও কষ্ট যে প্যাকেজের মূল্য এত বেশি কেন? এ কষ্ট ও অসন্তোষ আমরা অনুভব করতে পারি।
হজের খরচ বাড়ার অন্যতম কারণ বিমানভাড়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হজযাত্রীদের বিমানভাড়া এমন যে, মনে হয় এটি প্রতিবছর বাড়বে। বিমান হজযাত্রী পরিবহন করে লাভ করে, কিন্তু করুক লাভ। বিমান কত লাভ করবে সেই দায়িত্ব যদি বিমানকে দেওয়া হয়, তাহলে তার লাভের প্রবণতা ইনফিনিটি (অসীম) হয়ে যাবে এক সময়। এখন বিমানের কোনো জবাবদিহিতা নেই, এখন বিমানে যেভাবে হিসাব দেয় সেভাবেই বিমানভাড়া নির্ধারিত হয়।’
‘এটা হতে পারে না। এটা হওয়া ঠিক নয়। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, বিমানভাড়া নির্ধারণের জন্য একটি স্বতন্ত্র কমিটি হওয়া দরকার। যে কমিটিতে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা থাকবেন, তারাই তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে বলবেন, এ এয়ারক্রাফটগুলোর চারটি সিঙ্গেল পরিচালনা করতে কত টাকা খরচ হয়। এর ওপরে এয়ারলাইন্সগুলোর কী পরিমাণ লাভ দেওয়া উচিত। তাহলে যৌক্তিকভাবে ভাড়া নির্ধারিত হবে।’
এর আগে তসলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিমানভাড়া পুনর্নির্ধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি। এর আগে আমরা অনেক দিন থেকে বলে আসছি, কিন্তু যেহেতু কোথাও আমরা ফল পাইনি, তাই সর্বশেষ আশা-আকাঙ্ক্ষার জায়গা প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন দিয়েছি, যুক্তিগুলো তুলে ধরেনি, কেন বিমানভাড়া কমানো উচিত এবং কীভাবে কমতে পারে। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে বিমান ভাড়া কমবে।’
রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি উবায়দুল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফোরামের সহ-সভাপতি রাশিদুল হাসান।