প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩, ২১:২৯
রোজা-ঈদ ঘিরে অপরাধ দমন জোরদারে আইজিপির নির্দেশ
রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ দমনে জোরালো কার্যক্রম গ্রহণের জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ছিনতাই, অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টিসহ অন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে নজরদারি বাড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ (ফেব্রুয়ারি মাস) পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
আইজিপি বলেন, কেউ যেন ধর্মীয় উসকানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে, সেজন্য পুলিশের মনিটরিং জোরদার করতে হবে। এ কাজে বিট অফিসারদের সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে তারা নিজ নিজ এলাকার প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কে অবহিত থাকে। কোথাও কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আইজিপি ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন আইজিপি। তিনি বলেন, বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার রোধে নিয়মিতভাবে গান চেকিং করতে হবে। তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আরও বেশি তৎপর হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেন। পুলিশপ্রধান বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে। জনগণ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে প্রতিনিয়ত পুলিশের সেবা পাচ্ছেন। তিনি জনগণকে আরও উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্য অতিরিক্ত আইজিপি ও ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন।