বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৬ °সে

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০৮

প্রদীপ্ত আলোর শিখায় এগিয়ে যাবে দেশ

প্রদীপ্ত আলোর শিখায় এগিয়ে যাবে দেশ
অনলাইন ডেস্ক

১৯২০ থেকে ১৯৭৫। ৫৫ বছরের সংগ্রাম পুরোটাই এক মহাকাব্য, যেই কাব্যের ধারাবাহিকতায় কখনো ছয় দফা, কখনো তর্জনী উঁচু ঘোষণা, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কিংবদন্তি বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ত্রো যথার্থই বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি।

ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়ের মতো।’ শতবর্ষ পেরিয়ে আজও বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার জন্মদিনে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণ নিয়ে সঙ্গে কথা বলেছেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিত হয়েছে। বিশ্বে নিজেদের মান-মর্যাদা তৈরি হয়েছে। বাঙালি জাতির গৌরবে ধন্য হয়েছে। আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ইউনেস্কো কর্তৃক ভাষা দিবসে ভূষিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর প্রামাণিক দলিলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি আমাদের স্বপ্নের ভোরে।

বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলা ভাষার সাহিত্যিকদের জন্যও এক অনুপ্রেরণা। তিনি দেখিয়েছিলেন কীভাবে একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখতে হয় এবং সেই স্বপ্নপূরণে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে হয়। আমাদের যারা সিনিয়র লেখক ছিলেন- যারা অনেকেই প্রয়াত, তারা যেমন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সাহিত্য রচনা করেছেন; তেমনি আমাদের সময়ের কবি-লেখক এবং এরই ধারাবাহিকতায় এখনকার তরুণ কবি-লেখকদের লেখাতেও বঙ্গবন্ধু আছেন।

বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই আমাদের হাতে রয়েছে। এগুলো পড়লে আমরা এক ভিন্ন বঙ্গবন্ধুর পরিচয় পাই। তার রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন’ পাঠে আমরা নতুন এক বঙ্গবন্ধুকে পাই। তার জীবনের একটি বড় অংশ কেটেছে জেলখানায়। সেই সময় তিনি বঙ্গমাতার পরামর্শে লেখা শুরু করেছিলেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে এমন কথা আমরা জানতে পারি। আবার দিনপঞ্জির মতো লেখা ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়লেও একজন লেখকের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। রাজবন্দি হিসেবে আটক থাকলেও কারাগারের ভেতরের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সোচ্চার ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার লেখা পড়লে এসব অনুধাবন করা যায়। আবার ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটিতে রয়েছে একজন তরুণ নেতার রাষ্ট্র বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ। বঙ্গবন্ধু যে ভবিষ্যতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্থপতি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবেন- সেই অভিযাত্রাটি দেখা যায় আমার দেখা নয়াচীন বইতে।

বঙ্গবন্ধু বাঙালির কাছে অমর। তিনি প্রদীপ্ত আলোর শিখা। আগামী প্রজন্ম এই প্রদীপের শিখার আলোয় এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নিজেকে গড়বে ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়