প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০৮
গ্রামে করদাতা নেই এটা বিশ্বাস করি না: তাজুল ইসলাম
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, করদাতার সংখ্যা শহরে বেশি, কিন্তু গ্রামে নেই এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না। আমাদের অসমতা অনেক বেশি সহনশীল। সে কারণে আমাদের এখানে বিল গেটসও নেই, জ্যাক মাও নেই। ট্রিলিয়ন ডলারের মালিকের সংখ্যা কম।
তিনি বলেন, গ্রামগঞ্জে উন্নতি হওয়ায় সেখানের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামে কর আদায়ে বিকেন্দ্রীকরণ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পরামর্শ দিয়েছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়কর বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামে অনেক উন্নতি হয়েছে। সেখানে সব ফলমূল পাওয়া যায়, অনেক ক্রেতা আছে। আগে দোকানে গরু জবাই করলে পুরো মাংস বিক্রি করতে কষ্ট হতো। এখন দেখা যায়, দিনে ৭ থেকে ১০টা গরু বিক্রি হয়। এখন বিক্রেতা বেড়েছে। করদাতার সংখ্যা শহরে বেশি, কিন্তু গ্রামে নেই এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না। আমাদের অসমতা অনেক বেশি সহনশীল। সে কারণে আমাদের এখানে বিল গেটসও নেই, জ্যাক মাও নেই। ট্রিলিয়ন ডলারের মালিকের সংখ্যা কম।
তিনি বলেন, গ্রাম থেকে কর আদায় বাড়াতে রাজস্ব বোর্ডের কর্মচারীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছানের মতো কর্মকর্তা দরকার। করের হার কমানো হয়েছে, জাল বাড়ানো হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সুবিধা হয়েছে। আমাদের গ্রোথ হয়েছে। এটা বাড়ানোর জন্য করের দরকার আছে। কর পেতে হলেও করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। যার আগে টাকা ছিল না, এখন তিনি মিলিয়নিয়ার-বিলিয়নিয়ার হয়ে গেছেন। এখন তাকে ব্যাপক কর দিতে হবে। করজাল বাড়াতে আমাদের নজর দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কাস্টমসে ব্যবসায়ীদের মালামাল ছাড় দিতে দেরি হলে শুধু ব্যবসায়ী নয়, গোটা জাতির ক্ষতি হয়। একজন ব্যবসায়ীর মাল কাস্টমে তিনদিন আটকে রাখলে এর সঙ্গে জড়িত সবাই ভুক্তভোগী হন। তাই যতদ্রুত সম্ভব মালামাল খালাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্যানেল আলোচনায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, নতুন রাজস্ব ভবন যেন ব্যক্তিপর্যায়ে আস্তার জায়গায় তৈরি হয়। করের হার নয়, করদাতার সংখ্যার মধ্য দিয়ে কর আহরণ বাড়াবো।
কর আদায়ে অটোমেশনের সচেতনতা জরুরি প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
তিনি বলেন, অটোমেশন একটা সফটওয়্যার কিনে ফেললেই যে সব সহজ হয়ে যাবে বিষয়টা এমন না। এজন্য আরও অনেক কাজ করতে হবে।
রহমাতুল মুনিম বলেন, ই-রিটার্ন, ই-টিডিএস এগুলো আমাদের নিজস্ব তৈরি করা ডিজাইন। এগুলো দিয়ে আগের থেকে কাজ অনেক সহজ হয়েছে। সবাই অটোমেশন করার কথা বলেন। অটোমেশন করলেই যে সুবিধা পাওয়া যাবে তা না। আর অটোমেশন করলেই যে সব বদলে যাবে বা সব সহজ হয়ে যাবে বিষয়টা এমন না।