প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৩০
গুলশানে নিজের অস্ত্র দিয়ে গুলি করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিন্টু
রাজধানীর গুলশানে দুই পক্ষের বিরোধের মধ্যে গুলি করে দুজনকে আহত করার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুই (৪৬) গুলি চালিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। তার লাইসেন্স করা পিস্তলটিও জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরের কাছে গুলশান শপিং সেন্টারের নিচে গুলিবর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। আহত পথচারী আমিনুল ইসলাম ও রিকশাচালক আবদুর রহিম মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি পিস্তল, ১৬ রাউন্ড গুলি, তিনটি গুলির খোসা ও চারটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল ওয়াহিদের সঙ্গে তার দুই সহযোগী মো. আরিফ হোসেন (২৪) ও মনির আহমেদকে (৩৫) আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা দোকানমালিক হাবিবুর রহমান আলিম (৩৫) ও স্থানীয় দোকানি মো. খলিল খানকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরিফ হোসেন ওমানপ্রবাসী। তিনি গুলশানের আলফা জেনারেল স্টোরে এসে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে একটি নম্বরে কয়েক ধাপে মোট ৭৫ হাজার টাকা পাঠান। টাকা নগদ পরিশোধ করতে না পারায় দোকানি হাবিবুর রহমান তাকে দোকানে আটকে রাখেন।
খবর পেয়ে আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভগ্নিপতি মনির হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল ওয়াহিদ গুলশান-১-এ ঘটনাস্থলের পাশের একটি কফির দোকানে আসেন। একপর্যায়ে তাদের দুজনকেও আটকাতে যান দোকানি হাবিবুর ও তার পরিচিত দোকানিরা। এসময় নিজের পিস্তল থেকে গুলি করেন আব্দুল ওয়াহিদ। এতে রাস্তার একজন পথচারী ও একজন রিকশাচালক গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধ পথচারী আমিনুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। তাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর রিকশাচালক আবদুর রহিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় দোকানিদের বরাত দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল ওয়াহিদ ঘটনাস্থলে এসে আরিফকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। দোকানিরা তাকে বাধা দিলে তিনি পিস্তল বের করে ফাঁকা গুলি করেন। এসময় কয়েকজন দোকানিকে লক্ষ্য করে গুলি করতে যান তিনি। একপর্যায়ে দোকানিরা তাকে ধাওয়া করেন। এসময় তার ছোড়া গুলিতে দুজন আহত হন।
পুলিশ জানায়, পিস্তলটি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল ওয়াহিদের নামে লাইসেন্স করা। তিনি ২০১৬ সালে এ অস্ত্রের লাইসেন্স পান। মেয়াদ শেষে ২০২১ সালে আবারও লাইসেন্সটি নবায়ন করেন তিনি।