মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:১৮

একসঙ্গে বিপিএম-পিপিএম পদক পেয়ে যা বললেন পুলিশ দম্পতি

একসঙ্গে বিপিএম-পিপিএম পদক পেয়ে যা বললেন পুলিশ দম্পতি
অনলাইন ডেস্ক

ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একসঙ্গে পুলিশের সর্বোচ্চ পদক পেয়েছেন এক পুলিশ দম্পতি। তারা হলেন- বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ও পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি সুনন্দা রায়।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের এ পদক পরিয়ে দেন। এ বছর পুলিশ বাহিনীতে ভালো কাজের জন্য ১১৭ জনকে বিপিএম ও পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছে।

সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী পেয়েছেন পিপিএম-সেবা ও সুনন্দা রায় পেয়েছেন বিপিএম-সেবা।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক পাওয়ার পর বগুড়ার এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জাগো নিউজকে বলেন, দুজন একসঙ্গে পদক পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। এটা আমাদের স্বামী-স্ত্রীর কর্মের স্বীকৃতি। এ জন্য আমরা অনুপ্রাণিত, উৎসাহিত। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকবো। দুজন একসঙ্গে পুলিশে চাকরির সুবাদে পরিবারে অনেক কিছু সেক্রিফাইজ (ত্যাগ) করতে হয়। কিন্তু তারপরও আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে কখনো বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হইনি। সবসময় আন্তরিকতার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। পারিবারিক বিষয় থেকে পেশাগত জীবনকে সবসময় আমরা প্রাধান্য দিয়েছি। আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছি।

বগুড়ার এসপি আরও বলেন, আমরা সন্তানকে সেভাবে সময় দিতে পারি না। অন্য বাবা-মা তাদের সন্তানদের যেভাবে ভালোবাসেন, আমাদের সন্তানেরা সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। অনেক কিছু সমন্বয় করে আমাদের দায়িত্ব পালনে কোনো প্রতিবন্ধকতার সুযোগ দেইনি।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় মনে করি এটা একটা মাইলফলক। কাদের জন্য, যারা ওয়ার্কিং কাপল। অনেক কিছু দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ আছে। যেখানেই দায়িত্ব দেওয়া হোক না কেন নিজের লক্ষ্য স্থির করে সেদিকে ধাবিত হওয়ার জন্য এটা একটা উদাহরণ।

অন্যান্য যারা আছেন ওয়ার্কিং কাপল, তারাও নিশ্চয় তাদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজেরা সাফল্য অর্জন করবেন এবং দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন, আশা প্রকাশ করেন সুদীপ কুমার।

পুলিশ কর্মকর্তা দম্পতি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ও সুনন্দা রায়- দুজনই বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তারা দুজনই দীর্ঘদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়