প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:৪৪
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৫ সদস্য গ্রেফতার
নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলিস্তান ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র পাঁচ সদস্যকে গুলিস্তান ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান কমান্ডার মঈন।
সর্বশেষ গত ৮ নভেম্বর নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র অন্যতম অর্থ সরবরাহকারী দুই সদস্যসহ তিনজনকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতাররা হলেন- অন্যতম অর্থ সরবরাহকারী আব্দুল হাদি ওরফে সুমন ওরফে জন (৪০) ও আবু সাঈদ ওরফে শের মোহাম্মদ (৩২) ও দাওয়াতি কার্যক্রমে জড়িত মো. রনি মিয়াকে (২৯)।
‘নিজ সন্তানকে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে তথাকথিত হিজরতের নামে প্রেরণের সঙ্গে জড়িত আবু বক্করের মা আম্বিয়া সুলতানা ওরফে এমিলিকে গত ৫ নভেম্বর উদ্ধার করে র্যাব। পরে পরিবারের সান্নিধ্যে চারদিন ধরে ডি-রেডিক্যালাইজেশন মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা হয়। আম্বিয়া সুলতানা এমিলি একটি স্বনামধন্য এয়ার লাইন্সে চাকরি করতেন।’
র্যাব জানায়, গৃহশিক্ষক আল-আমিনের মাধ্যমে তিনি ও তার ছেলে আবু বক্কর ২০২১ সালের প্রথম দিকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যোগ দেন। পরবর্তীসময়ে আবু বক্কর ওই ২০২১ সালের মার্চ মাসে আল-আমিনের নির্দেশনায় প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে তথাকথিত হিজরতের নামে বাড়ি থেকে বের হন। পরে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। অন্যান্য প্রশিক্ষণ শেষে গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি আল-আমিনের নির্দেশনায় গ্রেফতার রনি পাহাড়ে প্রশিক্ষণের জন্য আবু বক্করকে বান্দরবানে দিয়ে আসেন।
র্যাব আরও জানায়, আবু বক্কর পাহাড়ে প্রশিক্ষণে যাওয়ার পর সন্তানের কোনো খোঁজ-খবর না পেয়ে এমিলি সন্তানের চিন্তায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন এবং ভুল বুঝতে পেরে অনুশোচনা করতে থাকেন। পরবর্তীসময়ে র্যাব সদস্যরা তার সন্ধান পেলে সন্তানকে ফিরে পেতে ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।