প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৩১
জাতিসংঘ শান্তিপদক পেলেন বাংলাদেশের ১৪০ শান্তিরক্ষী
মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ইউনিট-২ (রোটেশন-৪) এর ১৪০ জন সদস্য জাতিসংঘ শান্তিপদক পেয়েছেন। সম্প্রতি তাদের শান্তিপদক পরিয়ে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মালির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পুলিশ প্রধান পুলিশ কমিশনার জেনারেল বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগানি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিনুস্মা হেড কোয়ার্টার্সের এফপিইউ কো-অর্ডিনেটর হাম্মানজাবু স্যামুয়েল, তিন্বুক্তো রিজিওয়েনর রিজিওনাল কমান্ডার সানাও দিওফ, রিজিওনাল আ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ডেপুটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জাবেদ আসলাম ও মিলিটারি কন্টিনজেন্টের কমান্ডাররা। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন, মেয়র ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি মালির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পুলিশ প্রধান পুলিশ কমিশনার জেনারেল বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগানি বলেন, প্রতিকূল পরিবেশেও অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ পরিচালনা করে স্থানীয় জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা।
ব্যানএফপিইউ-২ এর অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম- ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, বিনামূল্যে ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণ, স্কুলে শিক্ষাসামগ্রী ও মসজিদে উপহারসামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন মানবিক সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
শান্তিরক্ষা মিশনে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ ও তাদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বেরও প্রশংসা করেন বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগানি।
ব্যানএফপিইউ-২ (রোটেশন-৪) এর কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। তিনি মিনুসমা কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এর আগে প্রধান অতিথি তার ডেলিগেশন টিমসহ রাজধানী বামাকো থেকে ১২০০ কিলোমিটার দূরে মিনুসমা গুন্দাম ক্যাম্পের হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। ব্যানএফপিইউ-২ এর কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান প্রধান অতিথিকে হেলিপ্যাডে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে যান। সেখানে প্যারেড কমান্ডার ব্যানএফপিইউ-২ এর অপারেশনস্ অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম ও বর্ণিল প্যারেড প্রদর্শন করেন।
মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শনী শেষে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের ১৪০ জন পুলিশ সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক প্রদান করা হয়।
মালিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিনুসমা ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পদক দেওয়া হয়।