প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২২, ২১:৫৯
আন্দোলনের নামে অরাজকতা করলে ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী
আন্দোলনের নামে বিএনপি দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শনিবার (১৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দলের সভাপতি এ শক্ত অবস্থানের জানান দেন বলে বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে পরিষদের একাধিক সদস্য বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের আল্টিমেটামের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন। জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি জানান, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না। তবে সহিংসতা করলে ছাড় পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সহিংসতা ও নাশকতার আশ্রয় নিয়ে বিএনপি দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইলে ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা মোকাবিলা করবে। এক বিন্দু ছাড় পাবে না।
তিনি বলেন, তাদের বিভাগীয় সমাবেশ চলছে আওয়ামী লীগ কোথাও বাধার সৃষ্টি করছে না। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে এবং তাতে বিশ্বাসও করে।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচন সংবিধান অনুযায়ী হবে জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, সংবিধানের বাইরে একচুলও সরবো না। নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের বাইরের কোনও দাবিও আমলেই নেওয়া হবে না। তবে সংবিধান অনুযায়ী কোনও যৌক্তিক দাবি করা হলে তা সেটা বিবেচনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপদেষ্টা পরিষদের এক সদস্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করে তুলতে তার সরকার নির্বাচন কমিশনকে শতভাগ সহযোগিতা করবে। এই লক্ষ্যে দলের সবাইকে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে মানুষের ঘরে ঘরে যাওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের লাগামহীন বক্তব্যের সমালোচনা করে উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক সদস্য বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়'। এই নীতিতে চলেছি আগামীতেও চলবো। উপদেষ্টারা বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত আমাদের রাষ্ট্রদূতদের আরও সক্রিয় করে তোলা ও দক্ষ কূটনীতিকদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এগুলো করা হচ্ছে। বিদেশিরা যখন আমাদের দেশের ব্যাপারে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে আমরাও তাদের দেশের অমানবিক-অগণতান্ত্রিক ব্যাপারগুলো তুলে ধরে তাদের চাপে রাখার পথে হাঁটতে পারি। তবে তা হতে হবে রাষ্ট্রচার অনুযায়ী।
দেশের টাকা বিদেশে পাচারের যে অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে উপদেষ্টারা আলোচনা করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা কারা? চিহ্নিত করুন। অবশ্যই টাকা ফেরত আনা হবে, শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে অপরাধীদের।