প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০০:২৫
হিযবুত তাহরীরের পলাতক ৬ সদস্যকে খুঁজছে এটিইউ
উগ্রবাদ ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে ৮টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে ‘হিযবুত তাহরীর’ অন্যতম। এই সংগঠনটিকে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
তবে নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও আড়ালে থেকে উগ্রবাদী কার্যক্রম ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে সংগঠনটি। এই অভিযোগে সংগঠনটির পলাতক ৬ সক্রিয় সদস্যকে খুঁজছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
তারা হলেন- মো. আবু জায়িদ (৩৫-৪০), শিবলি আহম্মেদ (৪০-৪৫), মো. ইমাদুল আমিন (৪০-৪৩), মো. ফয়সাল (২২-২৬), আব্দুর রহমান (২৫-৩০) ও হাফিজ আল রাজি (৩০-৩৫)।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের বেশ কিছু সক্রিয় সদস্য ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে অনলাইনে সমাবেশ করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান আরও বলেন, এরপর ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর অনলাইনে সমাবেশ করেন মো. আবু জায়িদ। তার ভাষ্যমতে ‘দেশের অর্থনীতি আজ এই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কেন?’ এই বিষয়ে প্রায় ৩০ মিনিট বক্তব্য রাখেন তিনি। আব্দুর রহমান (তার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে) ধ্বংসপ্রায় অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং নেতৃত্বশীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠায় আসন্ন খিলাফত রাষ্ট্রের নীতিমালা নিয়ে প্রায় ৩৩ মিনিট আলোকপাত করেন। এছাড়াও মো. ইমাদুল আমিন প্রায় ২৩ মিনিট বক্তব্য দেন।
এটিইউয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, পলাতকদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা পর তারা বিভিন্ন অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপনে চলে যান।
‘তারা দেশ থেকে চলমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করে যে কোনো মূল্যে কথিত ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, ভীতি ও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে পরিকল্পনা করে আসছেন।’
এছাড়াও তারা (হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা) সাধারণ জনগণকে তাদের সংগঠনের প্রতি এবং উগ্রবাদী কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করতে সাইবার স্পেস ব্যবহারের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও দাবি অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের।