প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২২, ২২:৫৬
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াত আমিরের ছেলে গ্রেপ্তার
জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ডা. রাফাত চৌধুরী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বোম ডিসপোজাল ইউনিট। বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি করছে সিটিটিসি।
সিটিটিসি বলছে, গ্রেপ্তারকৃত ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছিলেন।
ডা. রাফাত সদিক জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বর্তমান আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ছেলে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, গত ১ নভেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম ওরফে ইসা ওরফে আরাফাত (২৪), মো. জাহিদ হাসান ভূঁইয়া (২১) ও সৈয়দ রিয়াজ আহমদ (২২) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ডা. রাফাত চৌধুরীর নাম আসে।
গ্রেপ্তার থাকা ওই তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, আনসার আল ইসলাম সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছিলেন ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ। গত ৬ নভেম্বর তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। এর ভিত্তিতে আজ দুপুরে সিলেট থেকে ডা. রাফাত চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহর পরিবার বা তার বাবার রাজনৈতিক কোনো পরিচয় আছে কি না তা আমরা এখনো জানি না।
তবে জামায়াতের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ছেলে।
সিটিটিসি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ ধর্মভীরু তরুণদের জিহাদি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জিহাদ করার জন্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) উভয় সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিজরত করেন তিনি। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ‘আরএসও’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন ডা. রাফাত। ২০২১ সালের জুলাই মাসে রাফাতের নেতৃত্বে সিলেট থেকে ১১ জন একসঙ্গে আরাকানে যাওয়ার জন্য হিজরত করেন।