মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২২, ২৩:১৯

বেকারি খাদ্যপণ্য মোড়কীকরণের নির্দেশনা

বেকারি খাদ্যপণ্য মোড়কীকরণের নির্দেশনা
অনলাইন ডেস্ক

বেকারি খাদ্যপণ্য যথাযথ মোড়কীকরণের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ জানায়, পাউরুটি, বিস্কুট, চানাচুরের মতো বেকারি পণ্যগুলো যথাযথ নিয়মে মোড়কীকরণ হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে প্যাকেটে উৎপাদনকারী/আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম, পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা ও খাদ্যপণ্যের পুষ্টিগত তথ্যাবলি যথাযথভাবে উল্লেখ না করে খাদ্য বাজারজাত করছে বেকারিগুলো। এ কারণে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যথাযথ মোড়কীকরণ ছাড়া ভোক্তারা আর্থিকভাবে প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ঝুঁকিতে পড়ছেন। এ ধরনের কাজ নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩২ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এমতাবস্থায়, বেকারি খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে মোড়কাবদ্ধ খাদ্য লেবেলিং প্রবিধানমালা, ২০১৭ অনুযায়ী খাদ্য মোড়কীকরণের নির্দেশ প্রদান করা যাচ্ছে।

প্রবিধানমালা অনুযায়ী, পণ্যের লেবেলে উল্লিখিত তথ্যসমূহ বাংলা ভাষায় স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। এছাড়া খাদ্যের পুষ্টিগত তথ্য ও ব্যবহৃত খাদ্য উপাদানের তথ্য যথাযথভাবে লেবেলে উল্লেখ করতে হবে। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে থাকতে হবে, যাতে সহজে দৃষ্টিগোচর হয়। পাশাপাশি খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী এবং ক্ষেত্র বিশেষে আমদানিকারকের নাম, পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা যথাযথভাবে লেবেলে উল্লেখ করতে হবে।

এছাড়াও যেসব ব্যবসায়ী যথাযথভাবে লেবেলবিহীন বেকারি খাদ্য (পাউরুটি, বিস্কুট, চানাচুর ইত্যাদি) বিক্রি করবেন তারাও এ অপরাধে অপরাধী হবেন। সংশ্লিষ্ট সব বেকারি খাদ্য উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও বিক্রয়কারীকে এ বিষয়ে সতর্ক করা যাচ্ছে বলেও জানায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়