প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২২, ০০:৪৭
পুলিশের সদস্যরা অবৈধ পার্কিং করলে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের কোনো সদস্য যদি অবৈধ পার্কিং ও বাস টার্মিনাল গড়ে তোলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেছেন, পুরো ঢাকা নো পার্কিং। প্রাইভেটকারসহ ছোট যানবাহন রাখা নিয়েই মূলত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অফিসিয়ালি পার্কিং জোন করতে আমরা চেষ্টা করছি।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘কমিশনারস মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসছে না। আপনি যে পরিকল্পনা নেবেন সেটা কতটা স্থায়িত্ব হবে বলে মনে করেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না আলাদা লেন করা। রাজধানীতে যেসব লেন করা হয়েছে তা স্থায়ী না। আমাদের ট্রাফিক সার্জেন্টদের জন্য আলাদা বক্স নেই, টয়লেট নেই। আমরা যদি কিছু করি তাহলে সেগুলো অবৈধ দখল বলে ভেঙে দেওয়া হয়। আমরা যা করি তা সাময়িক। এসব সিটি করপোরেশনের কাজ।
রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নাজুক, এই পরিস্থিতিতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কী ধরনের পরিকল্পনা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সাধারণ সূত্র চারটি। একটা হলো ইনফোর্সমেন্ট, এডুকেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও এনভাইরমেন্ট। কিন্তু একটা ক্ষেত্রে বড় সমস্যা দেখা দেয়। সেটা হলো ইঞ্জিনিয়ারিং। ঢাকা গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করবো, আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা। রাজধানীবাসীকে ট্রাফিকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
আরও কিছুদিন যানজট যন্ত্রণা থাকবে উল্লেখ করে গোলাম ফারুক বলেন, রাজধানীতে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এমআরটি, বিআরটি, এলিফেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে গাজীপুর থেকে শুরু করে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত যান চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়। যার প্রভাব পড়ে রাজধানীতেও। যে কারণে ট্রাফিকে চাপ রয়েছে। যা আরও কিছুদিন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, দুনিয়াব্যাপী মাদক নির্মূল করা চ্যালেঞ্জ। আফগানিস্তানের মতো একটা ইসলামিক দেশে পপি চাষ হয়। তারা সবকিছুই করছে কিন্তু পপি চাষ বন্ধ করছে না। মাদকের মতো ভয়ংকর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে আসলে গণমাধ্যমসহ সবারই সহযোগিতা দরকার।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, কয়েক বছর ধরে আমরা মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণ করেছি। মাদকের ব্যাপারে আমরা দুই ধরনের কাজ করছি। জনগণের মধ্যে যারা মাদকসেবী ও মাদক কারবারি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। আমরা তাদের মধ্যে ডোপ করছি। মাদক না পেলেও ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা দিচ্ছি।
‘মাদক সেবনে চাকরি হারাচ্ছে পুলিশ সদস্যরাও। জিরো টলারেন্স নীতির কারণে আমরা পুলিশের মধ্যেও ডোপ টেস্ট করছি। যারা পজিটিভ হচ্ছেন তাদের আমরা চাকরিচ্যুত করছি।’
তিনি আরও বলেন, মাদক বন্ধে শুধু সাপ্লাই লাইন বন্ধ করলেই হবে না। ডিমান্ড লাইন বন্ধ করতে হবে। যদি মাদকের ডিমান্ড ও মাদকসেবী থাকে তাহলে যতো কড়াকড়িই আরোপ করেন না কেন সাপ্লাই আসবেই। সুতরাং আমাদের আগে মাদকের ডিমান্ড বন্ধ করতে হবে। যারা মাদকসেবীদের তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডিমান্ড কমলে মাদক ব্যবসায়ীরা এমনিতেই মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেবে। আমাদের মাদকসেবীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা সেবার মান ও চিকিৎসা কেন্দ্র বাড়াতে হবে।