মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২২, ২৩:১২

সিত্রাংয়ে আঘাতে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী

সিত্রাংয়ে আঘাতে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর আঘাতে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

ঘূর্ণিঝড়ে এ পর্যন্ত নয় জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। যেভাবে সিত্রাং সৃষ্টি হয়েছিল, যেসব পূর্বাভাস ছিল, যেভাবে এর বিস্তৃতি ছিল এবং যেভাবে সরাসরি বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছিল- সবাই পূর্বাভাস দিয়েছিল যে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই ছিল, এটা প্রবল বা অতিপ্রবল বা সুপার সাইক্লোন কোনটাতেই রূপ নেয়নি। বাতাসের গতিবেগ ৮০ কিলোমিটারের ওপরে যায়নি। আমাদের যে ঘোষণা ছিল, সেই সময়ের অনেক আগেই অনেক দ্রুত গতিতে সিত্রাং উপকূল অতিক্রম করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের পূর্বাভাস ছিল, এটা বরগুনা ও পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে যাবে। কিন্তু পরে এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন নেওয়ার কারণে পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় সতর্কতার শুরু থেকেই আমাদের মাঠ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করেছেন।

প্রায় ৬ হাজার ৯২৫ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে আনা হয়েছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে রান্না করা ও শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যেহেতু রাত ১০টার পরে অতিক্রম করেছে, আশ্রিত মানুষেরা মধ্যরাত থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করে বাড়িতে যাওয়া শুরু করেন। সকাল হতে হতে সব আশ্রয়কেন্দ্র খালি হয়ে যায়।

‘এ পর্যন্ত আমাদের ৪১৯টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানে প্রায় ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ হাজার হেক্টর এবং এক হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। উপকূলীয় জেলা ছাড়াও কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ এমনকি ঢাকাতেও আঘাত হেনেছে।’

এনামুর রহমান আরও বলেন, শেষ তথ্য অনুযায়ী গাছ চাপা পড়ে নয়জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে গোপালগঞ্জে দুইজন, কুমিল্লায় তিনজন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া একজন, ভোলায় একজন, বরগুনায় একজন এবং শরীয়তপুরে একজন। সবগুলোরই কারণ ঘরের ওপর গাছ পড়া। শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন বাইরে ছিলেন এবং গাছ চাপা পড়েছেন।

‘ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য অবশ্যই আমরা মন্ত্রণালয় থেকে টিন দেবো এবং গৃহনির্মাণ মজুরির জন্য আমরা নগদ অর্থ দেবো।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনকে বলেছি চাহিদা পাঠাতে। আগামীকাল চাহিদা এলে আমরা বরাদ্দ দিতে পারবো। আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ টিন ও নগদ টাকা আছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়