প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০১:২৩
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা কেরির
স্বল্প কার্বন নির্গমনকারী দেশ হওয়া সত্ত্বেও উচ্চাকাঙ্ক্ষী জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন ও প্রশমনে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে সম্প্রতি লেখা এক চিঠিতে কেরি নতুন আইন আইআরএ (মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইন) সহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাইডেন প্রশাসনের বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও তুলে ধরেছেন।
রোববার (২৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড ও লক্ষ্যের জন্য ঢাকার প্রশংসা করে জন কেরি যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জলবায়ু উদ্যোগে যোগদানেরও আহ্বান জানান। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্যান্য বৃহৎ নির্গমনকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক উদাহরণ স্থাপন করতে পারে এবং বিশ্ব জলবায়ু প্রক্রিয়ায় অর্থপূর্ণভাবে অংশ নিতে তাদের উৎসাহিত করতে পারে।
তিনি গত বছর গ্লাসগোতে কপ২৬ সম্মেলনের আগে জমা দেওয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষী ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের (এনডিসি) জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং এ বছরের নভেম্বরে শার্ম আল শেখে কপ২৭ সম্মেলনের আগে আরও উচ্চতর কিছুর জন্য অনুরোধ করেন।
একইসঙ্গে তিনি এনডিসি লক্ষ্য বাস্তবায়নের উপায় খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের সমর্থনেরও আশ্বাস দেন।
গত ১৩ অক্টোবরের চিঠিতে মার্কিন বিশেষ দূত গত বছর ১০টি নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করার ঘোষণার জন্য বাংলাদেশকে স্বাগত জানান।
তিনি ক্লিন এজ এশিয়া ইনিশিয়েটিভসহ বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা, ক্লিন এনার্জি এবং এনার্জি এক্সেস লক্ষ্যের জন্য মার্কিন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।
কেরি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে কৃষি উদ্ভাবন মিশন ফর ক্লাইমেটে (এআইএম৪সি) যোগদান করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। এটি মার্কিন নেতৃত্বাধীন একটি উদ্যোগ যা জোরালো উদ্ভাবন বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি কপ২৭-এর মাধ্যমে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের জলবায়ু অর্থায়ন অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন কেরির কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী মিথেন নিঃসরণ রোধ করার জন্য ইউএস এবং ইইউ-এর নেতৃত্বাধীন যৌথ উদ্যোগ গ্লোবাল মিথেন প্রতিশ্রুতিতে যোগদানের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
ড. মোমেন মিথেন নিঃসরণ কমানোর জন্য কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতার ওপর যে কোনো বিরূপ প্রভাব কমাতে উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করার আশ্বাসের কথা কেরিকে স্মরণ করিয়ে দেন।