মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২২, ১৭:০৪

দখলদার যেই হোক খালের জায়গা ছেড়ে দিতেই হবে

দখলদার যেই হোক খালের জায়গা ছেড়ে দিতেই হবে
অনলাইন ডেস্ক

দখলদারের নাম নিয়ে চিন্তিত না এবং সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১২ অক্টোবর) কালু নগর স্লুইস গেইট সংলগ্ন এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেয়র বলেন, আমরা নাম নিয়ে চিন্তিত না। নাম আমাদের কাছে বিষয় না। এখানে ১০ তলা ভবন হয়ে গেছে। আজ (বুধবার) থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে। আগামী বুধবার আবার পরিদর্শনে আসব। আশা করি, অবৈধ ভবনের যে অংশ খাল বা নদীর মধ্যে পড়েছে সেটা থাকবে না। সুতরাং সবাইকে ছেড়ে দিতে হবে। এতদিন যে দখল করে খেয়েছে সেটা এখন থেকে ছেড়ে দিতে হবে। আর যদি না ছাড়ে তাহলে আমরা এটা ভেঙে দিব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলররা।

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলটি সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাকে নিয়ে সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে তাপস বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধারে আমরা বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। এরই মাঝে খনন কাজ আরম্ভ করেছি। জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, আমাদের সম্পত্তি বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থাসহ সবাই যৌথভাবে আমরা পরিমাপ করছি। সীমানা চিহ্নিত করেছি। সেই সীমানা চিহ্নিত করে আমরা স্থায়ীভাবে সীমানা পিলার লাগিয়ে দিব। এই কার্যক্রম ইনশাআল্লাহ অচিরেই দৃশ্যমান হবে। আদি বুড়িগঙ্গা তার সেই পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে পারবে।

স্থায়ীভাবে আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধারের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আদি বুড়িগঙ্গার সিএস এবং অন্যান্য নকশা অনুযায়ী নদীর অববাহিকা বা নদীর সীমানা যেখানে বেশি আছে আমরা সেটাকে ধরছি। সেটাকেই ধরে সব অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে। সেখানে নদীর অববাহিকা ও নদীর গতিপথ সৃষ্টি করে আমরা তার পাশ দিয়ে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। যাতে করে মানুষজন হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে চলাফেরা করতে পারে। আমরা গণপরিসর প্রতিষ্ঠা করব যাতে করে মানুষজন নদীকে উপভোগ করতে পারে এবং ঢাকার পূর্বের সেই প্রতিচ্ছবি ফিরে আসে।

ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আশ্বিন মাসেও বৃষ্টি হচ্ছে। এখনো আমরা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। যার কারণে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনো আছে। কিন্তু গত ১০ অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে মোট ৬৪২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৪০ জন হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। সুতরাং আমাদের সার্বক্ষণিক যে কার্যক্রম চলছে, তাতে আমরা ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। ডেঙ্গু পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত, প্রাদুর্ভাব নেমে না আসা পর্যন্ত আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।

এর আগে মেয়র তাপস ডগাইর এলাকায় দক্ষিণ সিটির ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বতীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়