প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৮
‘নৌ চলাচল নিশ্চিত করতে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন হচ্ছে’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে সুস্থ ও সচল রাখতে হলে নদীর প্রবাহ সচল রাখতে হবে। নাব্যতা না থাকায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা হয়েছে। নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বেশ কিছু ড্রেজার সংগ্রহ করছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সে পদক্ষেপ আর দেখিনি। ব্রহ্মপুত্র নদে একসময় বড় বড় জাহাজ চলতো। খননের অভাবে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননে পদক্ষেপ নিয়েছেন। শুধু পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নয় অন্যান্য নদী খননে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদে শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহ পুনরুদ্ধার এবং সারা বছর নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিএ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ব্রহ্মপুত্র নদকে দ্বিতীয় শ্রেণির রুট হিসেবে উন্নত করলে বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল রুটে ১১৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। ব্রহ্মপুত্র নদের মুখ খুলে দিলে তুরাগ ও বালু নদের প্রবাহ নিশ্চিত হবে। ঢাকার চারপাশের নদীর দূষণ কমে যাবে। বড় ধরনের সাফল্য আসবে। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রকল্প চলমান। নিচের দিকে অনেক খনন হয়েছে। মুখ খুলে দিতে পারলে সাফল্য আসবে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত ‘Restoration of Dry Season Flow in old Brahamaputra River Go With Flow’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সত্যজিৎ কর্মকার, পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের প্রথম সচিব Folkert de jeger, আইডব্লিউএম’র নির্বাহী পরিচালক জহিরুল হক খান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নদী খননের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনি মেনিফেস্টোতে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের বিষয়টি উল্লেখ করেন। সে অনুযায়ী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো সরকার বা দল নৌপথ খননে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বেড়ে গেছে। নৌপথে পণ্য পরিবহনে খরচ কম। অভ্যন্তরীণ নৌপথে নাব্যতা বজায় থাকলে সমুদ্র বন্দরগুলো অনেক বেশি গতিশীল হবে বলে জানান তিনি।