প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪৫
আওয়ামী লীগের শাসনামলেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের শাসনামলেই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন।
প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিবিসির সাংবাদিক লরা কুনেসবার্গ এই সাক্ষাৎকার নেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি জানতে চান আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি কী- এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠার জন্যই আমার সংগ্রাম করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বিবিসিকে বলেন, সামরিক শাসকরা দীর্ঘদিন ধরে দেশ শাসন করেছে, তারা দল গঠন করেছে এবং ভোটের জন্য তারা কখনো জনগণের কাছে যায়নি। তারা (সামরিক স্বৈরশাসক) সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য সবকিছু করেছে।
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, প্রকাশ্যে বা গোপনে সামরিক শাসক ছিল বলে জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়। তিনি তখন দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং আপনি জানেন যে আমার পুরো পরিবার, আমার মা, আমার তিন ভাই, দুই ভাতৃবধু, পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ মোট ১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তারপর থেকে ২১ বছর ধরে দেশটি বারবার অভ্যুত্থান প্রত্যক্ষ করেছে।
গুমের অভিযোগের বিষয়ে বিবিসির সাংবাদিকের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই অভিযোগ করতে পারে, কিন্তু এটা কতদূর সত্য, বিচার করতে হবে। এটা জানার আগে কেউ কোনো মন্তব্য করবেন না।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্মৃতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬১ সালে যখন রানি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সফর করেছিলেন এবং তিনি তাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রথমবার দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, তখন আমরা খুব ছোট এবং আমার বাবার (বঙ্গবন্ধুর) অফিসে গিয়েছিলাম। কারণ আমরা জানতাম যে রানি সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই, আমরা সবাই, পুরো পরিবার, দূরবীন নিয়ে জানালায় অপেক্ষা করেছি। ফলে আমরা তাকে আরও স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি।
প্রতিটি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে রানির সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি প্রায় সাতটি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। প্রতিবারই আমি তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।
রানির সঙ্গে সুন্দর স্মৃতি রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার (রানি) চমৎকার স্মৃতিশক্তি ছিল। তিনি আমাকে না দেখলে বলতেন ‘হাসিনা কোথায় ছিলেন’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথ দেশগুলোর একজন সদস্য হিসেবে রানি আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান ছিলেন।